Read Time:2 Minute, 43 Second

কাজী মশহুরুল হুদা :

লস এঞ্জেলেসে কোন নেতা নেই। যা আছে তা হচ্ছে- তথাকথিত নেতা অর্থাৎ স্বঘোষিত। এই সব কথিত নেতা কমিউনিটির নাম ভাঙিয়ে মূলধারার রাজনীতে নিজেকে জাহির করে। তারা মূলধারার রাজনীতিবিদের কাছে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তারা কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব করেন। অথচ এই সকল কতিপয় ব্যাক্তিদের কমিউনিটিতে কোন পাত্তাই নেই। তারা মূলত: ফেসবুক বা ইমেইল নেতা।

তারা ফেসবুকে নিজের ছবি ও নাম দিয়ে তাদের কথা জানান দিয়েই খালাস। ওদিকে মূলধারার নেতৃবৃন্দ মনে করে এরা কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের হাতে রাখলে উক্ত কমিউনিটির ভোট পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে এসব কতিপয় স্বঘোষিত ব্যাক্তি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বা নির্বাচন ছাড়াই সুপারিশে কমিশনার হয়ে যান। এরা পারিবারিক সুবিধা ভোগ করেন। এসব পাতি নেতাদের ডাকে কমিউনিটির দশজন মানুষ একত্রীত হয় কিনা সন্দেহ। তাদের নিয়ন্ত্রেণে নাম সর্বস্ব সংগঠন আছে কিন্তু কোন কর্মসূচি নেই বা কমিউনিটির সেবা করার মত সময় ও সুযোগ নেই। এদের কেউ কেউ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তৃতা দেন আর লম্বা চওড়া কথার বুলি ছড়ান। সিটি হলের কতিপয় ব্যাক্তিদের সাথে পরিচিতি থাকার ফলে দেখাসাক্ষাতে তাদের সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে প্রকাশ করে আর ইমেইলে খবর জানায়। দেড় ডলার দিয়ে সিটি হলের সার্টিফিকেট কিনে যখন তখন অনুষ্ঠানাদিতে নিজ হাতে বিলি করে। তাদের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়েনা। কারণ এদেরকে কমিউনিটির মানুষ এমনিতেই চেনেন। এদেরকে থামাতে পারবেনা কেউ।

এদের লজ্জ্বা শরম বলে কিছু নেই। এদের কাছে কমিউনিটি বড় নয়, নিজের পরিচয়টাই বড়। মতামতে এধরণের বিষয় নিয়ে লিখলে মন্দ হতে হয়। অগত্যা বলতে হয় কি আর করা, খেলারাম খেলে যা!

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post উত্তর আমেরিকা বাংলা কবিতা ও সাহিত্য সম্মেলন ২০২০ : থাকছে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন
Next post আত্মপ্রচার ও সাংবাদিকতা
Close