Read Time:5 Minute, 12 Second

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে ঘুরিয়ে দিতে একঝাঁক উপদেষ্টার শরণাপন্ন হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক চেষ্টাতেও কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি তিনি। ফলে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের শেষ দিনগুলো কেমন হতে পারে তা নিয়ে শঙ্কিত তার উপদেষ্টারা। শেষের দিকে এসে ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশ বলে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও এর পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নে নতুন অনিশ্চয়তার জন্ম নিতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। আগামী কয়েক দিন ট্রাম্প কী করতে যাচ্ছেন, এ ব্যাপারে তার কোনো উপদেষ্টাই নিশ্চিত নন। কারণ, ট্রাম্পের হাতে আরও এক মাস সময় আছে।

আইনজীবী সিডনি পাওয়েল, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন, সাবেক মুখ্য কৌঁসুলি স্টিভ ব্যানন, বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এবং প্রশাসনের আরও অনেকে ওভাল অফিসের সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে শঙ্কিত। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ও আইনজীবী রুডি জুলিয়ানিকে ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের অনেক চেষ্টা করতে দেখা গেলেও শেষমেশ পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নিজের পিঠ বাঁচিয়েছেন। গত সোমবার একই কাজ করতে দেখা যায় পাওয়েলকে।

ট্রাম্পকে এখন প্রেসিডেন্টে হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের নিয়মিত বৈঠকের প্রায় পুরোটা সময়ই ভোট জালিয়াতি নিয়ে অভিযোগ করতে দেখা যায় তাকে। গত সোমবারও ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় তরুণ রিপাবলিকানদের এক সভায় ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরাই নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের এমন একটি পার্টি দরকার যে লড়াই করতে পারে। আমাদের কিছু ভালো সিনেটর রয়েছেন যারা এ নিয়ে কাজ করছেন। তারা সত্যিই ভালো যোদ্ধা। আমরা যে জিতেছি তারা তা জানেন। আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা।’

প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন যে, তিন সপ্তাহ আগে পাওয়েলকে তার দলবল নিয়ে অফিস ত্যাগ করতে দেখা গেলেও সামনের দিনগুলোতেও তাকে ট্রাম্পের পাশেই দেখা যেতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজের কাউন্সেল অফিসে পাওয়েলকে একটি প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। ওই প্রস্তাবনায় কী আছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সিডনি পাওয়েল কিছু একটা করতে পারেন এমন আশঙ্কা করছেন আইনজীবীরা।

চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ট্রাম্পের ফ্লোরিডা সফর শুরু হতে যাচ্ছে। এই সফরে ট্রাম্প কী করতে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে তিনি একাধিক বৈঠক, ফোনালাপ এবং বিশেষ ব্যক্তিদের সঙ্গে একান্ত আলাপ করবেন। তবে ট্রাম্পের এসব বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা তার উপদেষ্টারাও বলতে পারছেন না। তবে একদল আইনজীবীর মতে, ট্রাম্প আগামী ৬ জানুয়ারির ম্যারাথন বিতর্কের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এই প্রস্তুতির বিষয়টি বেশ কয়েকজন সিনেটর জানেন।

এদিকে গত রবিবার হোয়াইট হাউজের সাবেক মুখ্য কৌঁসুলি স্টিভ ব্যানন জানান, তিনি ট্রাম্পকে ভোট জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে বিশেষ কাউন্সেল নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশেষ কাউন্সেল যেন জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগেরও তদন্ত করেন, সে বিষয়েও ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন ব্যানন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post লকডাউনে মায়ের নিঃসঙ্গতা কাটাতে যেভাবে বাংলা শিখলেন ব্রিটিশ লেখিকা
Next post জামায়াতের কার্যক্রম সম্পর্কে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন
Close