Read Time:4 Minute, 53 Second

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে ইসরায়েল ‘নিজেই তার সেই সিদ্ধান্ত’ নেবে। এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সরকার আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে।

ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর থেকেই নেতানিয়াহু বারবার প্রতিশোধের কথা বলে আসছেন।

ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা কমানোর প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য নিয়ে ইসরায়েল সফরে যাওয়া ক্যামেরন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, ইসরায়েলের জবাব হতে হবে ‘স্মার্ট’ এবং সীমিত।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর জেরুজালেমে সাংবাদিকদের ক্যামেরন বলেন, ইরানের দুঃখজনক হামলার পর তিনি ‘সংহতি প্রকাশের জন্য’ ইসরায়েলে এসেছেন।

তিনি বলেন, ‘আশা করি ইসরায়েল যাই করুক তা হবে সীমিত ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী এবং যতটা সম্ভব স্মার্ট। কেউই উত্তেজনা চায় না এবং এটাই ইসরায়েলে সবার সঙ্গে আলোচনায় আমরা পরিষ্কার বলেছি।’

বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই- আমরা নিজেরাই আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো এবং ইসরায়েল রাষ্ট্র নিজের সুরক্ষায় যা দরকার তার সবই করবে।’

নেতানিয়াহুর মন্তব্য এখন পশ্চিমাদের মধ্যে এ বিশ্বাসই আরও জোরদার করবে যে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে এবং সংযমের জন্য পশ্চিমাদের ঘন ঘন পরামর্শ সম্পর্কেও তাদের একটি বার্তা দিচ্ছে ইসরায়েল।

ওই অঞ্চলে যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিয়ে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল ইসরায়েল।

অন্যদিকে, পশ্চিমা নেতারাও এটা ভেবে স্বস্তি পেতে পারেন যে ইরানের হামলার পর পাওয়া কূটনৈতিক সমর্থনকে ইসরায়েলি নেতারা কাজে লাগাতে চান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার অঙ্গীকার করেছে।

আর একটি প্রতিশোধমূলক জবাব দিয়ে ওই অঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে সেই সমর্থন হয়ত মি. নেতানিয়াহু হারাতে চাইবেন না- তেমন সম্ভাবনাও রয়েছে।

ক্যামেরন পশ্চিমা কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন যারা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর আশংকা ঠেকানোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েল সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বেয়ারবকও আলোচনার জন্য বুধবার জেরুসালেমে এসেছেন। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগে ক্যামেরন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দখলিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে গিয়ে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এদিকে, জি৭ মন্ত্রীরা ইতালিতে সমবেত হচ্ছেন যেখানে ক্যামেরন ইরানের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চেষ্টা চালাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ‘অতিমাত্রায় ক্ষতিকর কার্যকলাপের পেছনে’ থাকার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। ওই অঞ্চলে ইরানে প্রভাবে রাশ টেনে ধরার জন্য অন্য দেশগুলোর প্রতি দরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইসরায়েলে হামলার জেরে ইরানের বিরুদ্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিলো যুক্তরাষ্ট্র
Next post চিত্রশিল্পী-লেখক ধ্রুব এষ আইসিইউতে
Close