Read Time:3 Minute, 51 Second

চলতি মাসের শুরুর দিকে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার নির্মম মারধরের ফলে মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলস। সম্প্রতি জড়িত থাকা পুলিশ কর্মকর্তার নির্মম মারধরের ভিডিও প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনার পর শুক্রবার ( ২৭ জানুয়ারি) মেম্ফিস শহর কর্তৃপক্ষ এই ফুটেজগুলো প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যে পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা সবাই কৃষ্ণাঙ্গ; তাদেরকে গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) পুলিশ বিভাগ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

ভিডিও ক্লিপে নিকোলসকে চালকের আসন থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করার পর, তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা গেছে। এ সময় নিকোলস চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আরে, আমি কিছু করিনি, আমি কেবল বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছি’।

ভিডিওটির প্রকাশের পর বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে মেম্ফিসে জড়ো হয়ে ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’ স্লোগান দিতে এবং ‘গণদাবি: পুলিশি সন্ত্রাস বন্ধ কর’ প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে। ছবি: রয়টার্স

পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে নির্দেশ দেন । তার মুখে মরিচের গুড়া স্প্রে করা হয় । নিকোলস তখন নিজেকে মুক্ত করে উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় শুরু করেন, পেছনে পুলিশের ওই কর্মকর্তাদেরকে তাকে ধাওয়া করতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন নিকোলসকে লক্ষ্য করে স্টান গান থেকে ফায়ারও করেন।

আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, ফের ধরা পড়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা নিকোলসকে বেধড়ক পেটান।

এই ভিডিওতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিকোলসকে চেপে ধরে রাখতে এবং একজনকে তাকে লাথি মারতে দেখা গেছে। চতুর্থ আরেক কর্মকর্তাকে দেখা গেছে সম্ভবত লাঠিজাতীয় কিছু একটা দিয়ে আঘাত করতে ও পরে ঘুষি মারতে। নিকোলস এসময় বারবারই ‘মা, মা’ বলে চিৎকার করছিলেন। ঘটনাস্থলে প্রথম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী পৌঁছানোর প্রায় ১৯ মিনিট পর সেখানে স্ট্রেচার পৌঁছায় বলেও ভিডিওতে প্রমাণ মিলেছে।

নিকোলেসের মা পরে জানান, পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার সময় তার ছেলে বাড়ি থেকে মাত্র ৮০ গজের মতো দূরে ছিলেন।

পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মাত্রার খুন, হামলা, অপহরণ, অসদাচরণ ও নিপীড়নের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনার একদিন পর পুলিশ সদস্যদের শরীরে লাগানো ক্যামেরা এবং রাস্তার ধারের একটি খুঁটিতে লাগানো সিসি ক্যামেরা থেকে নেওয়া ৭ জানুয়ারির ওই মারধরের চার অংশবিশিষ্ট ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। ওই মারধরে গুরুতর আহত নিকোলাস (২৯) তিনদিন পর হাসপাতালে মারা যান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post পদযাত্রা দিয়েই এ সরকারকে বিদায় করব: ফখরুল
Next post ‘পদযাত্রা নয়, বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়েছে’
Close