Read Time:2 Minute, 50 Second

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের অনেকেই করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় চীনা নাগরিকরা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এ মন্তব্য করেছে ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইফসাস)।

স্থানীয় সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, খুলনা পাওয়ার প্লান্টে প্রায় ১০০ জন এবং প্রিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে কর্মরত আরও ৩৫ জন চীনা নাগরিকের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই পাওয়ার স্টেশনটি পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। প্রিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন চীনা নাগরিক কাজ করেন। এর আগেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে কর্মরত ১৫ জন চীনা নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া খুলনা পাওয়ার প্লান্টের অভ্যন্তরে নির্মিত দ্বৈত জ্বালানি সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত ৮৫ জন চীনা কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এসব অঞ্চলে সত্যিকারের যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না এবং তারা স্থানীয় জনসাধারনের সঙ্গে মিশে তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন। অভিযোগ রয়েছে, চীনা নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলছেন না এবং এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরতদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন তারা।

খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৮৫ জন চীনা নাগরিক কাজ করেন এবং এখানে ৫০০ কর্মী নিয়মিতভাবে কাজ করেন। ফলে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ায় এ সমস্ত কর্মীরা ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে চীন।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post জিয়াউর রহমান দেশে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
Next post মাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা চান ভাসানচরের রোহিঙ্গারা
Close