Read Time:3 Minute, 6 Second

জিয়াউর রহমানের হত্যার রাজনীতি দেশের ইতিহাসে এটি কালো অধ্যায় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সশস্ত্রবাহিনীর হাজার হাজার জওয়ান এবং অফিসারকে হত্যা করে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন, দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশে কারফিউতন্ত্র কায়েম করেছিলেন তবুও নিজে রক্ষা পাননি।’

রোববার ( ৩০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে ভাষায় বিষোদগার করেছেন সেজন্য আমাকে বলতে হচ্ছে, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন তা নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তিনি দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত করেছিলেন, দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুহত্যার বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি বিল সংসদে পাস করেছিলেন।

ড. হাছানের মতে, ‘যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন তাদের হাতেই জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডই সমর্থন করি না এবং এভাবে যিনি মানুষ হত্যা করেন তিনি যে রক্ষা পান না, সেটির প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তিনি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এবং তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় যেভাবে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইতিহাসে এ ধরণের হামলা খুবই বিরল।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার সেই বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার
Next post করোনা মোকাবিলায় চীনা নাগরিকরা বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ
Close