Read Time:5 Minute, 4 Second

সম্প্রতি এলএ প্রবাহ কর্তৃক সংবাদ পরিবেশিত হয়েছিলো যে, ‘বাফলা থেকে জিয়া ইসলাম ইমপিচড!’ সংবাদটি বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই বলছেন, বাফলার জিয়া ইসলাম ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। কারণ, ইমপিচড হয়েছে এমন কোন ঘোষণা বাফলার তরফ থেকে জানা যায়নি।

অতীতে বহুবার বাফলার উপর চরম দূর্যোগের ঘনঘটা নেমেছে। তবে এধরণের অপবাদ ইতিপূর্বে শোনা যায়নি। অতীতে সকল সমস্যা বাফলা ঠাণ্ডা মাথায় বিচক্ষণতার সাথে মোকাবিলা করেছে। লস এঞ্জেলেস কমিউনিটি মনে করে যে, ষড়যন্ত্রমূলক যদি হয়ে থাকে বাফলা তা সুষ্ঠুভাবে সমাধান করবে। বাফলা কোন পক্ষ না নিয়ে একটি পাঁচ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপনীত হবে বলে সুশীল সমাজ মনে করেন। যেহেতু প্যারেড আসন্ন এবং প্যারেড যাতে ষড়যন্ত্রের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা বাঞ্চনীয়।

আমাদের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট জিয়া ইসলামের কাছে তার পদত্যাগের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি লিখিত কোন পদত্যাগপত্র দেইনি। জরুরী তলবকৃত ইসি মিটিংয়ে আমাকে আদম ব্যাবসার অভিযোগ করলে আমি আবেগগতভাবে মিথ্যা অপবাদ নিতে পারিনি বিধায় মৌখিকভাবে ইস্তফা দিতে সভা ত্যাগ করেছি মাত্র।’

তিনি বলেন, ‘আমি এখনও নির্বাচিত পদে বহাল আছি এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’

তাহলে কেনো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে অথবা অপবাদ দেওয়া হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে শোনা যায়, বাফলার প্যারেডে কালচারাল সেক্রেটারী মোহম্মদ আলীর নেতৃত্বে কিছু শিল্পী বাংলাদেশ থেকে আসছে এবং শিল্পীর সাথে তাদের পরিজনও আসছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, মোহম্মদ আলী আনন্দ মেলারও কর্ণধার। অভিযোগ রয়েছে, আনন্দ মেলায় বাফলার আমন্ত্রিত শিল্পী অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে একটি শিল্পীর নাম উল্লেখিত হয়েছে। কারণ উক্ত শিল্পী বাফলার শিল্পী হিসেবে ভিসার জন্য আবেদন করেছে কিন্তু তার ইন্টারভিউর তারিখ পড়েছে প্যারেডের পর। ধারণা করা হচ্ছে উক্ত শিল্পী আনন্দ মেলাতে অংশগ্রহণ করবে। আনন্দ মেলার কর্তৃপক্ষ জানায় যে, আনন্দ মেলা তাদের এক ডজনের অধিক শিল্পী আসছেন।

এখন প্রশ্ন আদম ব্যাবসা নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা কারা এবং তারা কি ভিসা নিয়ে অন্যত্র অনুষ্ঠান করছে কিনা অথবা তারা আদৌ কোন শিল্পীর পরিবারভূক্ত কিনা, সবই হাতিয়ে দেখতে হবে। বাফলা কোন পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত না দিয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনীত হবে বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন। সংবিধান ত্রুটি থাকলে তার জন্য অবশ্যই যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে বাফলা।

এখানে উল্লেখ যে, ফোবানাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে, শিল্পীরা তাদের সাথে পরিবার আনার দাবী করে এবং তাদের খরচ কতৃপক্ষ বহন করে অথবা পরিবারের দায়িত্বে এসে থাকে। যেভাবে ডিল করা হয় সেভাবেই ফোবানা শিল্পীদের এনে অনুষ্ঠান করে থাকে। কিন্তু বাফলার ক্ষেত্রে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন। অনেকেই মনে করছেন প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশ ডে প্যারেডকে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডে প্যারেড নামকরণ করাতে বাফলার কিছু শীর্ষ ব্যাক্তি নাখোস হয়েছেন। এ অপবাদ সত্য নয় কারণ, বাফলার সংবিধানে তেমনটিই উল্লেখ্য আছে।

সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে যে, বাংলাদেশ ডে প্যারেড এণ্ড ফেস্টিবল, ইন দ্যা সেলিব্রেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট অব বাংলাদেশ। অর্থ তো একই দাঁড়ায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post শেখ হাসিনাকে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন
Next post জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
Close