Read Time:4 Minute, 18 Second

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার ভিডিও কলে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট আলাপ করেন তারা। এসময় বেইজিং যদি ইউক্রেনের শহর ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার সময় রাশিয়াকে সহায়তা করে তাহলে তার ‘প্রভাব ও পরিণতি’ কী হবে তা শি’কে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। খবর আল-জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানের।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে-চীন ও মার্কিন নেতার মধ্যে যে ফোনালাপ হয়েছে তা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সংকটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র ও অংশীদারদের মতামত তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই আগ্রাসন প্রতিরোধে তাদের প্রচেষ্টার বিস্তারিত বর্ণনা করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সংকটের কূটনৈতিক সমাধানে তার সমর্থনের ওপর জোর দেন।

তবে শি-বাইডেনের ভিডিও কল নিয়ে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি হোয়াইট হাউস। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, বাইডেনকে শি বলেছেন, দেশে দেশে সংঘাত কোনো উপকারে আসে না। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সংঘাতের পর্যায়ে যেতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, এটা শুধু চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয় নয় বরং পুরো বিশ্বের বিষয়। তবে বাইডেন এসব নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য দিবে না। উদাহরণ হিসেবে রাশিয়াতে যা ঘটছে তা বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, বাইডেন এটা স্পষ্ট করেছেন-রাশিয়াকে সহায়তা করলে তাদের পরিণতি কী হতে পারে। বাইডেন পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রভাবিত করার জন্য শিকে সরাসরি কোন অনুরোধ করেননি।

‘চীন নিজেই তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে আমরা মনে করি’ বলেন তিনি।

শি বলেন, ‘ইউক্রেনে এখন যে অবস্থায় পৌঁছেছে তা চীন কখনই দেখতে চায়নি। তবে চীনের নীতিতে যুদ্ধ বলে কোনো শব্দ নেই।’

বেইজিং এই যুদ্ধের জন্য ন্যাটোকে দায়ী করছে। তারা মনে করছে, ন্যাটো এবং পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। শি তাইওয়ানের উপর এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত।

এর আগে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘রাশিয়াকে চীন কীভাবে সহায়তা করে, তা আমরা নিবিড়ভাবে নজরদারি করছি। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমরা বেইজিংকে বলেছি, আমরা চুপ থাকব না এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রাশিয়ার পাশে কোনো দেশকে দাঁড়াতে দেব না।’

রাশিয়াকে সহায়তার বিষয়ে সুলিভান আরও বলেন, চীন যদি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠতে মস্কোকে সহায়তা করে, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
Next post ভারতকে হারিয়ে মেয়েদের দলগত রিকার্ভেও সেরা বাংলাদেশ
Close