Read Time:3 Minute, 42 Second

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন ভাইরোলজিস্ট জোসেফ ফাইর। সাধারণত মুখ ও নাকের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলেও এ ভাইরোলজিস্টের আশঙ্কা, চোখের মাধ্যমে তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদ এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমন আশঙ্কার কথা জানান এই চিকিৎসক।

জোসেফ ফাইর জানান, করোনা থেকে রক্ষা পেতে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিমানে করে নিউ অরলিন্সে নিজ বাড়িতে ফেরার তিনদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর করোনা পরীক্ষা করালে ফল পজিটিভ আসে। ৪২ বছর বয়সী জোসেফ ফাইর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে কাজ করেছেন।

যে ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন সেটিতে অনেক বেশি যাত্রী ছিল। ফাইর বলেন, ‘আমি মাস্ক পরা ছিলাম, হাতে গ্লাভস ছিল, নিয়মিত হাতও ধুয়েছি। তবে অবশ্যই চোখের মাধ্যমে এটা ছড়াতে পারে। আমি ওই ফ্লাইটে বিশেষ চশমা (গগলস) পরা ছিলাম না।’

এই চিকিৎসক বলেন, ‘সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাব্য পথগুলোর একটি এটি (চোখ)। অথচ আমরা এ ব্যাপারে বেশি নজর দিচ্ছি না। নাক ও মুখ নিয়েই বেশি সচেতন আমরা। কারণ, এ দুই পথেই সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ সংক্রমিত হয়ে থাকে।’

ফাইর জানান, তিনি নিজের বাড়িতে পৌঁছার পর আর কোথাও যাননি। আর সে কারণে চোখ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাটা অনেক বেশি জোরাল হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, ‘আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সাধারণত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায় করোনাভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে তার আশেপাশের মানুষের মুখ ও নাকের মাধ্যমে ভাইরাসটি তাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্য উপায়ে করোনাভাইরাস এতটা সহজে সংক্রমিত হতে পারে না। তবে ভাইরাসটি কোনো বস্তুর মধ্যে থাকলে এবং কেউ যদি সে বস্তুটিকে স্পর্শ করার পর মুখ, নাক ও এমনকি চোখ স্পর্শ করে তবে এর মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।’ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সিডিসি।

ফাইর বলেন, ‘আমি মনে করি, এখনো অনেক কিছুই আমাদের অজানা।’ তিনি জানান, শুরুর দিকে তার জ্বর জ্বর ভাব ও ক্ষুধামন্দা ছিল। বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তবে হঠাৎ করে দেখলেন, ২৫ শতাংশের বেশি অক্সিজেন নিতে পারছেন না। আর তখনই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে ভর্তি হন। গত বুধবার রাতে চিকিৎসকরা জানান, তার অবস্থা সংকটমুক্ত।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post চীনের সঙ্গে সব সম্পর্কের ইতি টানছে যুক্তরাষ্ট্র!
Next post ঘর নেই, তাই টয়লেটে কোয়ারেন্টাইনে
Close