Read Time:3 Minute, 20 Second

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দৌড়ে নামল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাণী থেকে মানুষ সকলের উপর থাবা বসাতে পারে করোনা। তাই শুধু কোভিড-১৯ নয়, সবরকমের করোনা ভাইরাস মোকাবিলার যোগ্য ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

নতুন ভ্যাকসিনের নাম DIOS-CoVax2। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার পরে কেমব্রিজের ভ্যাকসিনে আর্থিক অনুদান দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে আগামী অক্টোবরেই। এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে কোনও সূচ ব্যবহার করা হবে না।

কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ভাইরাল জুনটিক্স ল্যাবরেটরির প্রধান জোনাথন হিনে বলেছেন, টিকার বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা এখনই সামনে আনা যাবে না। ভেক্টর ভাইরাসকে ব্যবহার করেই টিকা তৈরি হয়েছে তবে করোনার জিন সরাসরি নেওয়া হয়নি। ল্যাবরেটরিতে বিশেষ উপায় সিন্থেটিক জিন বানানো হয়েছে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে যে কোনও রকম আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেনের মোকাবিলা করার জন্য সক্রিয় করে তুলবে।

মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। তিন মাসের মধ্যেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই রিইনফেকশনের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। সেই জন্য এই টিকা এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা শরীরে ঢুকলে সরাসরি টি-কোষকে সক্রিয় করে তুলবে।

মানুষের জন্মের পর থেকে মৃত্যু অবধি, এই টি-কোষ শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখার চেষ্টা করে। যে সমস্ত অ্যান্টিজেন মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে তাদের শনাক্ত করে সেইমতো জিন ডিজাইন করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ভালো ফল দিচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। হিউম্যান ট্রায়ালে মিলেছে ভালো রেসপন্স। অক্সফোর্ডের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ফলাফল কয়েকমাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিঙ্গহাম জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং জার্মানির করোনার ভ্যাকসিন এই বছরের শেষে প্রস্তুত হতে পারে। ChAdOx1 nCoV-19 নামে ওই ভ্যাকসিনের সেফটি প্রোফাইল আছে ও অ্যান্টিবডি রেসপন্স বাড়াতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন
Next post হ্যারিকেন ‘লরা’র আঘাতে বিধ্বস্ত লুইজিয়ানা, মৃত ৬
Close