Read Time:4 Minute, 45 Second

কাজী মশহুরুল হুদা : মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি রয়েছে তার যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ। কারণ, বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না বলে তিনি মনে করেন। আর তাই তার ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এরপর যদি কারো কথা স্মরণ করতে হয় তাহলে মাওলানা ভাষানী ও জিয়াউর রহমানের নাম স্মরণে আসে। মাওলানা ভাষানী তার কাছে একজন প্রিয় ব্যাক্তিত্ব, মজলুম জনতার নেতা। মেজর জিয়াউর রহমানের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন যে, রেডিও স্টেশন থেকে সম্প্রচারিত জিয়ার ভাষন তিনি শুনেছিলেন, যা ছিল তার কাছে যুদ্ধে যাওয়ার সাহস ও প্রেরণা। আবুল খায়েরকে প্রশ্ন করলাম, এছাড়া রাজনৈতিকভাবে আর কাদের কথা এমুহূর্তে স্মরণ করতে চান? তিনি বললেন, বলার জন্য বলছি না। আমি আমার প্রাণের কথা বলছি, একবার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল স্বাধীনতার পূর্বে আজিমপুরের এক মিটিং এ জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা বক্তৃতা দেখার। তার বক্তৃতায় আমি অভিভূত হয়েছিলাম এবং বলেছিলাম এই মেয়ে একদিন অনেক বড় হবে। আজ তাকে দেখে আমার মনে হয় আমার সেদিনের চিন্তা সার্থক হয়েছে। আবুল খায়েরের কাছে মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন গুরুত্বপুর্ণ মানুষ, কারণ- সর্বদা তার সাহচার্যে থেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এছাড়া তিনি বলেন, শাহজাহান কামাল (সাবেক বিমানমন্ত্রী) বর্তমানে লক্ষীপুরের এমপি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ যাদের সাঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। আমি স্বচক্ষে ১৯৭১/৭২ সনদ পত্র দেখেছি। বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ তার নামে সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গ। এর মধ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী (১৭/১/৭২) অধিনায়ক মুজিব বাহিনী, চট্রগ্রাম, খালেক মোহম্মদ অলি প্রমুখ। তারা তাদের প্রদত্ত সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছেন আবুল খায়ের স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। পত্রে লিখেছেন ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তাকে চিনি। সে কর্মঠ ও চরিত্রবান। এইসকল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে গ্রেডেন সেন্টার কন্টিনেন্টালে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন দেশে ঘুরে অবস্থান নিয়েছেন এই লস এঞ্জেলেসে। আমার কথা হল যারা তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে প্রদত্ত সনদে স্বাধীনতার পর তার মঙ্গল কামনা করে সংশ্লিষ্ট সকল কতৃপক্ষের নিকট সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য সকলের কাছে সুপারিশ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আবুল খায়ের মুক্তিযোদ্ধা কিনা সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ থাকে না বলে আমি মনে করি। বিগত ১৯৯৪ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের এই লস এঞ্জেলেসে বসবাস করছেন। সেই তখন থেকেই তিনি এই প্রবাসী কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বিগত বালা থেকে লিটল বাংলাদেশ ফরমেশনেও তার ভূমিকা বা অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সুপরিচিত আবুল খায়ের রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে বক্তব্য ও তার কর্মকান্ড এখনও অব্যাহত রেখেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post লস এঞ্জেলেসে সেমিনার, ‘বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ সহজলভ্য’
Next post ইতালি প্রবাসীদের মুকুটহীন সম্রাটের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী (ভিডিও সহ)
Close