Read Time:3 Minute, 52 Second

মাঈনুল ইসলাম নাসিম : 

ইতালিতে ‘মুকুটহীন সম্রাট’ ছিলেন লুৎফর রহমান খান। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইতালির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফর রহমান খানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ৩০ জুলাই। দশ বছর আগে ঠিক ওই দিনে তিনি ‘না ফেরার দেশে’ পাড়ি জমান। সত্যিকার অর্থেই তিনি ছিলেন কমিউনিটিতে ‘পাইওনিয়ার’, হাজার হাজার প্রবাসীর নির্ভরযোগ্য ‘পথ প্রদর্শক’। ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই সবাইকে কাঁদিয়ে রাজধানী রোমের একটিহাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজণিত কারণে অনেকটা অকালেই জীবনাবসান ঘটে ইতালির মেহনতী জনতার সবচাইতে কাছের এই মানুষটির।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নেয়া শেষে আশির দশকের মাঝামাঝি লুৎফর রহমান খানের রোমে আগমন। ঐ সময় ইতালিতে ছিল সীমিত সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। অভিবাসীরা যখন নিজ নামেলাইসেন্স করে বৈধ ব্যবসা-বানিজ্য করার অনুমতি পেতো না দেশটিতে, তখন লুৎফর রহমান খান ইতালিয়ান ন্যাশনাল পার্লামেন্ট হাউজের সামনে টানা ১৭ দিন অনশন ধর্মঘট করে ন্যায়সঙ্গত দাবী আদায় করতে সক্ষম হন।এই বীর বাংলাদেশির সংগ্রামী আন্দোলনের সোনালী ফসল হিসেবে প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো তখন নিজ নিজ নামে বৈধ ব্যবসা (লিগ্যাল বিজনেস) শুরু করে ইতালিতে।  

‘সাদা মনের মানুষ’ লুৎফর রহমান খান খেটে খাওয়া প্রবাসীদের সবচাইতে কাছের মানুষ হিসেবে বরাবরই সাদামাটা জীবন যাপন করেন ইতালিতে। যে কোন লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে বিদেশ বিভুঁইয়ে আজীবন সংগ্রাম করেগেছেন স্বদেশী ভাই-বোনদের কল্যাণে। অবিস্মরণীয় সব অবদান সত্বেও এই মুকুটহীন সম্রাটের স্মৃতির প্রতি যথার্থ সম্মান জানাতে বরাবরই উদাসীন ইতালীর বহুদা বিভক্ত বাংলাদেশ কমিউনিটি। রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বহীনতাও এক্ষেত্রে নেক্কারজনক। জন্মস্থান বাংলাদেশের পাবনার বেড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয় লুৎফর রহমান খানের। 

ইতালি প্রবাসীদের মুকুটহীন সম্রাটকে ২০০৯ সালে পাবনাতে দাফনের ভিডিও দেখুন :

https://www.youtube.com/watch?v=nZMIIqEfuic
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের গল্পের শেষ অংশ
Next post প্রসঙ্গঃ মাইনোরিটিস ডিসেপিয়ার্ড বা সংখ্যালঘু গুম!
Close