Read Time:3 Minute, 11 Second

জর্দানে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারের সন্তান হিসেবে একদমই সাধারণ পরিবেশে জন্ম নেওয়া রসায়নে নোবেল বিজয়ী ওমর এম ইয়াগি বুধবার বিজ্ঞানের ‘সমতার শক্তি’ হিসেবে কাজ করার ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন।

জর্দান–আমেরিকান এই বিজ্ঞানী জাপানের সাসুমু কিতাগাওয়া এবং ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া রিচার্ড রবসনের সঙ্গে যৌথভাবে মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস নিয়ে তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। এই প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ থেকে শুরু করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি আহরণ পর্যন্ত।

নোবেল ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইয়াঘি বলেন, ‘আমি খুব সাধারণ একটি ঘরে বড় হয়েছি।

আমরা প্রায় এক ডজন মানুষ একটি ছোট ঘরে থাকতাম, যেখানে গবাদি পশুর সঙ্গেও জায়গা ভাগ করতে হতো।’

তাদের ঘরে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল পানি সরবরাহ। তার বাবা ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়েননি, আর মা ছিলেন নিরক্ষর।

১৯৬৫ সালে জন্ম নেওয়া ইয়াগি জর্দানের আম্মানে বড় হয়েছেন।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবার পরামর্শে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
ছোটবেলায়, মাত্র ১০ বছর বয়সে, তিনি গোপনে স্কুলের সাধারণত তালাবদ্ধ লাইব্রেরিতে ঢুকে একটি বইয়ে প্রথমবারের মতো আণবিক গঠনের ছবি দেখেন।
সেগুলো তার কাছে ‘বোধগম্য না হলেও মুগ্ধকর’ মনে হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘এটা ছিল এক অসাধারণ যাত্রা। আর সেই যাত্রা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের কল্যাণে।’

তার মতে, ‘বিজ্ঞানই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমতাসৃষ্টিকারী শক্তি। মেধাবী ও দক্ষ মানুষ সর্বত্রই আছে — তাই আমাদের উচিত তাদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করার সুযোগ তৈরি করা।’

ইয়াগির নেতৃত্বাধীন গবেষণা দল অ্যারিজোনার মরুভূমির বাতাস থেকে পানি আহরণে সফলতা অর্জন করেছে — যা মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস প্রযুক্তির সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রয়োগগুলোর একটি।

তিনি হাসিমুখে স্মরণ করেন, ‘আমি যখন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আমার স্বাধীন গবেষণাজীবন শুরু করি, তখন আমার স্বপ্ন ছিল অন্তত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা, যা ১০০টি উদ্ধৃতি পাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত
Next post লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়
Close