Read Time:4 Minute, 16 Second

জাতিসংঘকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। বলেছেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কখনও হাল ছাড়বেন না তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে বিতর্ক-পর্ব। এই পর্বের শুরুতে ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, ‘আমরা কখনই হাল ছাড়ব না। এটা আপনাদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, মর্যাদার জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য ও মানবতার জন্য চেষ্টা জারি রাখব। আমরা জানি যে বিশ্বের জন্য আমরা যখন এক হয়ে কাজ করব তখনই তা সম্ভব। আমি কখনই হাল ছাড়ব না।’

বক্তব্যে গুতেরেস ফিলিস্তিনের গাজা পরিস্থিতি, সুদান ও ইউক্রেনের যুদ্ধের পাশাপাশি সোমালিয়া বা সাহেল, হাইতি ও মিয়ানমারে চলমান অস্থিতিশীলতা নিয়েও কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব অর্থনীতি, উন্নয়নের জন্য তহবিল বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নতুন করে প্রতিশ্রুতি এবং উদীয়মান প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি আরও মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ সভাপতিত্বে ফিলিস্তিনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ওপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ফ্রান্সের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। স্বীকৃতির ঘোষণা দেয় বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, অ্যান্ডোরা ও সান মারিনো।

এদিন গুতেরেস ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে ‘অপরিবর্তনীয় অগ্রগতি’র আহ্বান জানি বলেন, এ পথে এগোতে ব্যর্থ হলে এই অসহনীয় সংকট চিরস্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।

গাজায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং পশ্চিম তীরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে গুতেরেস জানান, কয়েক দশক ধরে চলা এই সংঘাত এখন নৈতিক, আইনি ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ এখানে এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথটি খুঁজে বের করতে এসেছি। সেটি হলো— দুটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র- ইসরাইল ও ফিলিস্তিন- ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানার ভিত্তিতে নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমানার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে, যেখানে জেরুজালেম হবে উভয় রাষ্ট্রের যৌথ রাজধানী।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post টিএসসিতে শেখ হাসিনার ছবিতে ডিম নিক্ষেপ
Next post জাতিসংঘের প্রয়োজনীয়তা নেই: ট্রাম্প
Close