Read Time:4 Minute, 48 Second

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের শনাক্ত করে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ম্যারিল্যান্ডের মার্কেটিং কোম্পানি নাভিস্টার ঘোষণা দিয়েছে, কোম্পানির আইডি ব্যাজ পরে ক্যাপিটল ভবনে ভাঙচুর করার সময় ছবি দেখে এক কর্মীকে শনাক্ত করেছেন তারা। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ম্যারিল্যান্ড জানায়, তারা সকল কর্মীর শান্তিপূর্ণ ও আইনি বাক স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে। কিন্তু কোনো কর্মচারী অন্যের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো বিপজ্জনক আচরণ প্রদর্শন করলে তাদের আর ন্যাভিস্টারে কাজ করার সুযোগ থাকবে না।

এদিকে টেক্সাসের আইনি ফার্ম গোসেহেড ইনস্যুরেন্স থেকে আইনজীবী পল ডেভিসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবারের সহিংসতায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া তার পোস্ট চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের নজরে আসার পর তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সামাজিক মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়- পল বলছেন, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে যাচ্ছি, যা চলছে তা হতে দিতে পারি না।’ তবে ফেসবুক পোস্টে পল দাবি করেছেন, তিনি পুরোটা সময় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছেন।

পেনসিলভানিয়ার সাবেক রাজ্য রিপ্রেজেন্টেটিভ রিক স্যাককোন ক্যাপিটল হিলের বাইরে বিক্ষোভে অবস্থানকালের ছবি ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। সেন্ট ভিনসেন্ট কলেজের বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইকেল হুস্টাভ জানিয়েছেন, স্যাককোন এখানে অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে কাজ করেন। ছবি শেয়ারের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ড. স্যাককোন অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা তত্ক্ষণাৎ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।

এছাড়া পদে থাকা অনেক মার্কিন কর্মকর্তা যারা ওই সহিংসতাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের ব্যাপারেও শৃঙ্খলা ভঙের অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি তারা বুধবার ক্যাপিটলে বিক্ষোভে উপস্থিত না থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে থাকলেও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যেমন- রাজ্যের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস পদে থাকা ওয়াল্টার ওয়েস্টকে বরখাস্ত করেছে। ওয়েস্ট ক্যাপিটলের সহিংসতাকে সমর্থন করে ফেসবুকে বিবৃতি দিয়েছিলেন। টেক্সাসের রিপাবলিকান দলের ওয়েবসাইটে বলা হয়, টেক্সাস জিওপি সব সময়ই আইনশৃঙ্খলাকে সমর্থন করে। যদিও এক বিবৃতিতে ওয়েস্ট দাবি করেছেন, তার ফেসবুক পোস্টগুলোর ’ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে’। তিনি কখনোই ক্যাপিটলে সহিংসতার পক্ষে ছিলেন না।

এখনো আতঙ্ক কাটেনি ওয়াশিংটনে। পার্লামেন্ট ভবনে হামলার পর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো ওয়াশিংটন। জরুরি অবস্থা চলায় ঘর থেকেও বের হচ্ছেন না বাসিন্দারা। বলছেন, তারা সংঘাতের কেন্দ্রে নয়, ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে অভ্যস্ত।

এদিকে, ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উসকানি ও হুকুমের আসামির খাতায় নাম উঠতে পারে তার। আর এমন হলে হোয়াইট হাউজ ছাড়া মাত্রই ‘লাল ঘরে’ ঢুকতে পারেন ট্রাম্প। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মার্কিন স্পিকারের টেবিলে পা তুলে বসা সেই ব্যক্তি গ্রেফতার
Next post যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় বাংলাদেশি চিকিৎসকের মৃত্যু
Close