Read Time:3 Minute, 22 Second

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে সহিংসতার পরও সিনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।

এর আগে ভাইস-প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন, হামলার সময়েও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স।

সিনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স সব সময়ই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে ক্যাপিটলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়। খবর বিবিসি বাংলার

পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনারা জয়ী হতে পারেননি।

তিনি বলেন, সহিংসতাকারীরা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয় এবং এটা এখনো জনগণের হাউজ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং শক্তি কতটা মজবুত। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন।

রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে। তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।

তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।

ডেমোক্রেটিক সিনেটর চাক শুমার বলেন, ৬ জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের সেই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে। সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি।

এ দিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউ পদত্যাগ করেছেন। এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম এই হট্টগোলের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। কিন্তু ক্যাপিটলের উপর হামলার সাথে এর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ২০০ বছর পর ক্যাপিটল ভবনে এমন হামলা
Next post ট্রাম্পের অপসারণ ও বিচারের দাবি বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমক্রেটিক পার্টির
Close