Read Time:4 Minute, 23 Second

আহমেদ ফয়সাল, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র :

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেকশনের চাঞ্চল্য শুরু হয়ে গেছে। ভাগ্যই যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় সহায়ক শক্তি। ট্রাম্পের পুনর্বার নির্বাচনের পথ পরিষ্কার হলো বলেই অনুমেয়। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন যেন ইলেকশনের আগেই হেরে গেলেন। জো বাইডেন ডোনাল্ড হ্যারিসের কন্যাকে নিয়ে(কামালা হ্যারিস) নির্বাচনী বৈতরণি পেরোতে পারবে বলে মনে হয়না।

নাম ছিলো কমলা দেভি হ্যরিস। ইংরেজী বানান ও এক্সেন্টের (accent) সুবাদে হয়ে গেছেন কামালা ড্যভি হ্যারিস। কমলা দেভি অরিজিনালি ইন্ডিয়ান আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তার মা শ্যামলা গোপালান ভারতীয়(তামিল) এবং বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস ব্লাক জ্যামাইকান(পূর্বপুরুষ আফ্রিকান)। মায়া হ্যারিস নামে তার একটা বোন রয়েছে।

৫৫ বছর বয়সী কমলা দেবী হ্যারিস ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়ে মার্কিন রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন। এর আগে তিনি দুই মেয়াদে ক্যালিফোর্নিয়ার এটর্নি জেনারেল ছিলেন ৬ বছর। কমলা হ্যারিস প্রথম কোনো ব্লাক ইন্ডিয়ান নারী হিসাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে তিনি বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স’ একজন তুখোড় পলিটিশিয়ান। পেন্স ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্য থেকে দুই মেয়াদে ৫ বছর গভর্নর ছিলেন।
তিনিও একজন তুখোড় ল’ইয়ার।

রানিং মেট সিলেকশন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, ঔদ্ধত্য স্বভাবের টাম্পের সাথে কুল পলিটিশিয়ান মাইক পেন্স গত ইলেকশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এমন একজন পলিটিশিয়ানের সাথে জো বাইডেন রানিং মেট সিলেকশনে দুরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেননি।তাছাড়া এর আগেও দু’জন নারীকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রানিংমেট করে জয়ের মুখ দেখেননি।

২০০৮ সালে আলাস্কার তৎকালীন গভর্নর গ্লামারাস গার্ল সারাহ পলিনকে রানিং-মেট করেছিলেন রিপাবলিকান ক্যান্ডিডেট জন ম্যাককেইন, ফলাফল ভরাডুবি। হোয়াইট হাউস দখলে এক কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের(বারাক ওবামা) সাথে পাত্তা পেলোনা ঐ হোয়াইট জুটি। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রথম কোনো নারী হিসাবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লরেছিলেন কংগ্রসওমেন জেরাল্ডাইন ফের‍্যারো। তিনি লড়েছিলেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াল্টার মন্ডেলের রানিং-মেট হয়ে। ফের‍্যারো ছিলেন একজন তুখোড় কূটনীতিক। বিল ক্লিনটনের সময়ে তিনি ইউএন এম্বাসাডর ছিলেন।

ঐতিহাসিক বাস্তবতা ভিন্ন কথা বললেও দেখা যাক বাইডেন-হ্যারিস জুটি ইতিহাসের গতি পাল্টাতে সক্ষম হন কিনা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post পল্লবী থানায় বিস্ফোরণ, নিজের গর্তে নিজেই পড়লো পুলিশ
Next post আগুন নিয়ে খেললে নিজেরাই পুড়ে মরবে, যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি
Close