Read Time:5 Minute, 32 Second

কাজী মশহুরুল হুদা
সভ্য দেশে বসবাস করেও ভালো কাজে বাহাত দেওয়ার মানুষ এই কমিউনিটিতে রয়েছে। আমি সম্প্রতিক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ লেখাটি লিখছি। যখন বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষনকে কেন্দ্র করে সামাজি আন্দলোন শুরু হয়েছে। দল, মত, ধর্ম- নির্বিশেষে সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে তখন প্রবাসে বসে আমরা বাঙালিরা বসে থাকাটা দেশপ্রেমের মধ্যে পড়ে না। কারণ ওই দেশেই রয়েছে আমাদের- মা-বোন, স্বজন।

সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে প্রতিরোধের উত্তাল আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। আমরাও যারা প্রবাসী বাঙালি আমাদেরও এই আন্দোলনে সামিল হওয়া জাতিয় কর্তব্য। এরই ফলশ্রুতিতে প্রবাসের সচেতন সমাজ একত্রিত হয়ে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছি। অথচ সেই প্রতিবাদকে কতিপয় মানুষ ভিন্ন খাতে ব্যবহার করে ব্যাক্তি ও দলীয় কোন্দলের আগুন জ্বালাচ্ছে। নিজেদের অপারগতার রেশ ধরে জ্বালা মেটানোর প্রচেষ্টা করছে।

রাইটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ক্যালিফোর্নিয়া একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। লস এঞ্জেলেসের বিবেকবান সর্বস্তরের সুশিল সমাজের মানুষদের উপস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন করে সংগঠনটি। এখানে কিছু প্লাকার্ড ছিল, যাতে বলা হয়েছিল ধর্ষনমুক্ত দেশ চাই। ধর্ষকদের বিচার চাই। ইত্যাদি। এখানে কেউই দলীয় ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়নি। যারা উপস্থিত ছিলেন তারা এই কমিউনিটির সচেতন নাগরীক। যারা দেশপ্রেমিক, জাতীয় চেতনায় তারা ঐক্যের পথে চলে।

অথচ কয়েকজন তথাকথিত ইডিয়েট, নির্বোধ উক্ত সমাবেশকে সরকার বিরোধি আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এখানে যারা উপস্থিত ছিলেন- তারা রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন দলের সাথে জড়িত। যেমন- বিএনপি, আওয়ামী লীগ পরিবার, মুনা, বঙ্গবন্ধু’র সৈনিক, অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। যেহেতু অন্যদলের মানুষের পাশে বা সাথে দাঁড়িয়ে সামাজিক দাবির কাতারে আওয়ামী পরিবারের ব্যাক্তিবর্গ ছিল এবং উক্ত ব্যাক্তির সাথে যাদের রাজনৈতিক ভাবে দলীয় কোন্দল আছে তাদের কতিপয় গাড়লেরা সমগ্র কার্যক্রমকে সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা লক্ষ করা গেছে।

তারা এমন অপপ্রচার করছে যে- বলে দিলো – আওয়ামী পরিবার হেরে গেল বিএনপির কাছে। আবার সরকারী দল হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে দাঁড়িয়ে দলের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা এমন সব নোংরা চিন্তার প্রকাশ ঘটাচ্ছে। অথচ কোন বক্তাই কোন দলের বা সরকার প্রধানের নাম উল্লেখ করে কোন বক্তব্যই দেয়নি। কোন দলীয় ব্যানারও প্রদর্শন করেনি। কিন্তু এই নোংরা দূরভিষন্ধি উস্কানিমূলক প্রচারণাকে কমিউনিটির মানুষ ধিক্কার জানিয়েছে।

উপস্থিত বিবেকবান মানুষ, সুশীল সমাজ তাদেরকে কমিউনিটির জঞ্জাল হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছে যখন দেশে আমার মা বোনের সম্ভ্রম নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, তখন কাণ্ডজ্ঞানহীন গাড়লেরা ঐক্যবদ্ধ সমাজকে সরকার বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদেরকে সমাজ থেকে বিচ্যুত করেছে।

যেখানে বাংলাদেশে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, ঐক্যবদ্ধভাবে কমিউনিটির মানুষ নিরপেক্ষ প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে, সেখানে দোসের কি দেখলো তারা?

কেউ কেউ বলছে, এদের কমিউনিটিতে কেউ গণ্য করে না বলে নিজেদের প্রতি অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পায়তারা করছে। এরা প্রচার প্রিয় মূর্খ সমাজ। যারা সবকিছুর মধ্যে গন্ধ খুঁজে বেড়ায়, বাহাত দিয়ে মনকে কুলসিত করে। এদেরকে চিহ্নিত করা উচিত এবং সমাজ থেকে বহিস্কার করা উচিত। এতে করে কমিউনিটিতে সুন্দর একটি ঐক্য, সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ফোনে ১৩৭৩টি অশ্লীল ভিডিও, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশির কারাদণ্ড
Next post ফ্রান্সে বৃহত্তর কুমিল্লা জনকল্যাণ সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
Close