Read Time:2 Minute, 48 Second

চলতি বছরের ১২ জুন ঐতিহাসিক বৈঠকে হাত মিলিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। এই বৈঠককে এখনও পর্যন্ত বহুল সমালোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতির সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প ঘোষণা করলেন ফের কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি।

আগামী মাসেই ফের বৈঠকে বসবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনাও হয়ে গেছে। এর আগেই মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও কিমের সঙ্গে বৈঠকে নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। বৈঠকের জন্য বেশ কয়েকটি নিউট্রাল ভেন্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু‘জনের মধ্যে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি ভেন্যু। ট্রাম্প জানিয়েছেন, কিমের সঙ্গে বৈঠক হবে আগামী ৬ নভেম্বর। আগামী মিড টার্ম নির্বাচনের পর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এখন আমার পক্ষে দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়, বৈঠক নিয়ে আমরা মিড টার্ম নির্বাচনের পর কথা বলব।’

অন্যদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে একটা পথ খুঁজে পেয়েছি যার মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে পরমাণু কার্যকলাপ বন্ধ করাই  আমাদের লক্ষ্য। গত ১২ জুন প্রথম দফার ঐতিহাসিক বৈঠক হয় ট্রাম্প ও কিমের। সেই বৈঠকে পারস্পারিক সহযোগিতার বার্তা দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই। দুই দেশের প্রধানের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তার মধ্যে প্রধান ছিল পারমাণবিক শক্তি। বৈঠকের আগে একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। এই নিয়ে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি চাপা লড়াই চলছিল। তবে বৈঠক শেষে কিম পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ করা নিয়ে আলোচনায় রাজি হন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন
Next post ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে হারিকেন ‘মাইকেল’
Close