Read Time:11 Minute, 22 Second

আগামী ২০ নভেম্বর ২০১৯ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারুণ্যের অহংকার, দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু ও সাধারন সম্পাদক এম ওয়াহিদ রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, তারেক রহমান এমনই একজন নেতা যার রয়েছে বহুমুখি প্রতিভা। স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। বিএনপিসহ সাধারণ জনসাধারণের কাছে তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। জনগণকে আপন করে কাছে টেনে নেয়ার জাদুকরী ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব, সম্মোহনী মার্জিত ব্যবহার, আর এসব গুণাবলীই তাকে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার অধিকারী করে তোলে। তারেক রহমান এই দেশ, মা, মাটি ও মানুষের সন্তান। তাইতো মা, মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করেই তারেক রহমান তার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেন। পিতার পথ ধরেই শহরকেন্দ্রিক রাজনীতিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেন হাটে-মাঠে-ঘাটে। তৃণমূল রাজনীতির প্রাণপুরুষ হয়ে ওঠেন তারেক রহমান। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের হাতে হাত রেখে, তাদের সুখে-দুখে অংশীদার হয়ে ঠাঁই করে নেন তাদের মনের মণিকোঠায়।

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন ও স্বনির্ভরতা অর্জন করতে গিয়ে দেশি- বিদেশি অপশক্তির ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদতবরণ করায় মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পিতৃহারা হন তারেক রহমান। দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল থেকে তিনি মাধ্যমিক ও ঢাকার বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবিতে পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন মেধাবী ছাত্র তারেক রহমান। শিক্ষাজীবন শেষে ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসায় সফলতা লাভ করেন। পরে তিনি নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করে সফলতা অর্জন করেন। তারেক রহমান ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বড় মেয়ে ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান সম্প্রতি লন্ডনের স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নন্দিত জননেতা তারেক রহমান কিশোর বয়সে ১৯৮১ সালে পিতাকে হারালেও পড়াশুনার পাশাপাশি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার মায়ের সহচর হিসেবে অংশ নেন। পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে তারেক রহমান বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেয়ার আগেই তারেক রহমান রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রায় নেপথ্যে থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তারেক রহমান। তারই রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অনবদ্য পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। দীর্ঘদিন দলের রাজনীততে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেপথ্যচারীর ভূমিকা পালন করলেও অবশেষে ২০০২ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারান্তরীণ থাকায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব তারেক রহমান। উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের তারুণ্যের এই ‘রাজনীতিক আইডল’ বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে রাজনীতির নতুন দিশার বর্ণাঢ্য আলোক রোশনাই ছড়িয়ে সম্মুখে ধাবমান। তিনি প্রবাসে থাকলেও তার মনপ্রাণ পড়ে আছে দেশেই। প্রতিবারের মতো এবারো এই হিরন্ময় তরুণ নেতার জন্মদিনটি এলেও তা সুদূর প্রবাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে পালন করতে হচ্ছে।

আমাদের নেতা তারেক রহমান অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিএনপিকে গুছানোর কাজ প্রায় শেষ করে নিয়ে এসেছেন, নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছেন বিএনপির মধ্যে। এই দুঃসময়ে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে তিনি দলকে পরিচালিত করছেন, এই দুঃসময়ে তিনি সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। আসুন আজকে তার জন্মদিনে আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই, তার শতায়ু কামনা করি। সেই সঙ্গে তার কাছে আমরা এই শপথ করি যে, আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং যেকোনো মূল্যে দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করে নিয়ে আসবো, ইনশা-আল্লাহ।

দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিনে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপির বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেনঃ বদরুল চৌধুরী শিপলু, এম ওয়াহিদ রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঞ্চন, মোঃ আঃ বাছিত, সামসুজ্জোহা বাবলু, মাহবুবুর রহমান শাহীন, মুর্শেদুল ইসলাম, নিয়াজ মোহাইমেন, সাইফুল আনসারী চপল, মাতাব আহমদ, অপু সাজ্জাদ, আফজাল শিকদার, সালাম দাড়িয়া, শওকত হোসেন আনজিন, সাঈদ আবেদ নিপু, জুনেল আহমেদ, আহসান হাবীব রুমি, মিকায়েল খান রাসেল, শাহাদাত হোসেন শাহীন, জহিরুল কবির হেলাল, মার্শাল হক, নুরুল ইসলাম, এলেন খান, মিজানুর রহমান, আবদুর রহিম, ফারুক হাওলাদার, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জেবুল, মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল, বদরুল আলম মাসুদ, দেলোয়ার জাহান চৌধুরী, লায়েক আহমেদ, রফিকুজ্জামান জুয়েল, ইলিয়াছ মিয়া, শাহতাব কবীর ভূঁইয়া শান্ত, শাহীন হক, আলমগীর হোসেন, রনি জামান, এ্যাডঃ নুরুল হক, সজয় আহমেদ মনির, মারুফ খান, লোকমান হোসাইন, কামাল হোসেন তরুন, মোশারফ হোসেন ইমন, রেজাউল হায়দার চৌধুরী বাবু, কামরুল আলম চৌধুরী, খোরশেদ আলম রতন, সামিদুল ইসলাম, সাঈদ খান, রেজাউল করিম জামিল, হাফেজ মোঃ বেলাল, শাহেদ আহমেদ, কহিনুর রহমান, ইফতেখার হোসেন ফাহিম, মিজানুর রহমান জমশেদ, কবির আহমেদ, হোসেন আহমেদ, এমাজউদ্দিন চৌধুরী দুলাল, আবদুল মোতালেব, আব্দুল হাকিম, খসরু রানা, আসাদুজ্জামান মুক্তা, নাজিম খান টিটু, সুমেন আহমেদ, আবদুল মান্নান, ফয়সাল হোসেন সিদ্দিকী, ফয়সাল সালাম, আবদুল মুনিম, আবুল খায়ের, শামসুল আলম, নাহিদুল ইসলাম, আবুল কায়সার, এ্যাডঃ শামসুন খান লাকী, ফরিদা বেগম, নয়ন বড়ুয়া, এ কে এম আসিফ, শহিদুল ইসলাম পলাশ, খায়রুল ইসলাম, সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন দিলির, ডাবলু আমিন, খন্দকার আলম, আবুল ইব্রাহিম, মানিক চৌধুরী, মিশর নুন, ফারুক সরকার, গিয়াস উদ্দিন, আবদুল আহাদ, এহসান আহমেদ, আবুল বাশার, দেলোয়ার আহমেদ, রফিকুল ইসলাম রিতি, নজরুল ইসলাম, আবুল হাসনাত চৌধুরী মন্টু, আবদুল হাসিব, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, হাসানুজ্জামান মিজান, মোঃ হাবিব, মাইনুল হক, মশিউর রহমান ও জিয়াউল হক জিয়া প্রমুখ। 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইউনেস্কোতে সংস্কৃতি মন্ত্রীদের ফোরামে বাংলাদেশ
Next post বিক্ষোভ দমন করায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
Close