বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার স্বার্থেই রাজনৈতিক স্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম। এ লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করলো মার্কিন কংগ্রেস।
২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল হিলে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাব কমিটির উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট-অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এক শুনানিতে এ গুরুত্বারোপ করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এশিয়া এবং প্যাসিফিক সম্পর্কিত সাব-কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান টেড ইয়োহো। তিনি বলেন, সর্বজনগ্রাহ্য একটি নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন হচ্ছে শান্তি ও স্থিতি।
প্রভাবশালী সদস্য ব্রেড শারম্যান এবং কংগ্রেসম্যান স্কট পেরী বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আয়োজনে কী ধরনের পদক্ষেপ অবলম্বন করা হয়েছে তা জানতে চান।
কংগ্রেসম্যান স্কট পেরী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যাপারে কংগ্রেসের অপরিসীম আগ্রহ রয়েছে। আমরা সব সময় দেখতে চাই যে, নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলসহ সকলের অংশগ্রহণ ঘটুক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলিস জি. ওয়েলস বলেন, রোহিঙ্গা, বন্যা, খরা, চিকিৎসা-সংকট ছাড়াও বাংলাদেশ আরেকটি পরিস্থিতির সম্মুখীন। সেটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। সম্ভবত: আসছে ডিসেম্বরে তা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের, যেখানে বিরোধী দলগুলো বিশ্বাসযোগ্যভাবে অংশ নিতে সক্ষম হবে।
ইউএসএআইডির এশিয়া ব্যুরোর সিনিয়র ডেপুটি সহকারী প্রশাসক গ্লোরিয়া স্টিলি বলেন, ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হবার কথা, সেটিকে সামনে রেখে ইউএসএইড বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, নির্বাচিত কর্মকর্তা, নারী নেতৃত্বসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে কাজ করছে দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে জবাবদিহিতা, অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ্বতায় পরিপূর্ণ করার জন্যে। যার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের প্রত্যাশার পরিপূরক একটি সুষ্ঠু নির্বান নিশ্চিত করা যেতে পারে।
এ শুনানির কিছুক্ষণ আগেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সাথে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্টিলি বলেন, সামনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বাংলাদেশের মনোভাব নিয়ে কথা হয়েছে। শান্তি ও স্থিতির প্রশ্নে অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথাও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবে চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সাব কমিটির চেয়ারম্যান।
এই শুনানিতে আরও অংশ নেন কংগ্রেসম্যান ডানা রোহরাবাসের, কংগ্রেসওম্যান এ্যান ওয়াগনার, এবং কংগ্রেসম্যান এ্যামি বেরা।
More Stories
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে বাফেলোর পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো...
বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন : প্রবাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশের আইনে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ...
আ.লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের...
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেটে অবস্থিত কমার্শিয়াল সেন্টারের আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে এই...
লস এঞ্জেলেসে সপ্তম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন’র প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
প্রবাস বাংলা ডেস্ক, লস এঞ্জেলেস থেকে, শামসুল আরিফীন বাবলু: ক্যালিফোর্নিয়া’র লস এঞ্জেলেসে ‘সপ্তম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী...
এমভি আবদুল্লাহকে যেভাবে পাহারা দিচ্ছে ২ যুদ্ধজাহাজ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। বাহিনীর...