Read Time:4 Minute, 57 Second

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ দুদিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে বর্ডার বার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় শার্শার শিকারপুর সীমান্তের মুক্তিযোদ্ধা খামার পাড়া ও ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তের ২৮ নম্বর মেইন পিলার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল জামিল আহম্মেদ, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্তসহ ভারতীয় বিএসএফের ১০৭ ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যশোরের ঝুমঝুমপুরস্থ ৪৯ বিজিবি দপ্তরে নেয়া হয়। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও বিজিবি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেছে।

এদিকে, বিএসএফের গুলিতে বেনাপোলের ধান্যখোলা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীন নিহতের ঘটনায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক এ কে এম নাজমুল হাসান। তিনি বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বেনাপোল থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে ধান্যখোলা বিওপি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এর আগে তিনি ৪৯ বিজিবি’র কোম্পানির সদর দপ্তর শিকারপুর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা মহাপরিচালকের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে গাড়ি উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এর আগে গত সোমবার ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে বিজিবির সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। পরে তার লাশ ভারত সীমান্তের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বিজিবি হত্যার প্রতিবাদ করে এবং লাশ ফেরত পাঠানোর দাবি জানায়। নিহত বিজিবি সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার তারাপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে।

ঐদিন মধ্যরাতে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল জামিল আহম্মেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারীদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌঁড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারীদের পিছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় সে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিকের মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের
Next post রাসেল-লিংকনেই ভরসা ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের
Close