Read Time:4 Minute, 3 Second

চীনের প্রভাব রোধ করতে শ্রীলঙ্কায় ৫৫৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কলম্বো ওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল প্রাইভেট লিমিটেডকে (সিডব্লিউআইটি) এ অর্থায়ন দেবে দেশটি। ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) এই বিনিয়োগ করবে। ডিএফসি হলো, মার্কিন সরকারের একটি উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব কমাতে চায়। এনডিটিভির খবর

চীন গত বছরের শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটাই শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ। গত বছরের অর্থনৈতিক মন্দার আগে কলম্বো বন্দর ও মহাসড়ক প্রকল্পগুলোর জন্য চীন থেকে ওই ঋণ নেয়।

সিডব্লিউআইটি ভারতের বৃহত্তম বন্দর অপারেটর আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড (স্পেশাল ইকোনমিক জোন) লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান জন কিলস হোল্ডিংস (জেকেএইচ) এবং শ্রীলঙ্কা পোর্টস অথরিটিকেও অর্থায়ন করবে ডিএফসি।

এই প্রথম মার্কিন সরকার তার একটি এজেন্সির মাধ্যমে আদানির কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এ অর্থায়ন কলম্বো বন্দরে একটি বিশ্বমানের কনটেইনার সুবিধা তৈরির জন্য আদানি গ্রুপের বিনিয়োগের সক্ষমতার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করে।

আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের (এপিএসইজেড) ডিরেক্টর ও সিইও কারান আদানি বলেন, ‘আদানি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য আমরা মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে স্বাগত জানাই। এটিকে আমাদের লক্ষ্য, সক্ষমতা ও পরিচালনা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক পুনর্নিশ্চিতকরণ হিসেবেই দেখছি। কলম্বো ওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।’

ভারত মহাসাগরের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হলো কলম্বো বন্দর। নতুন টার্মিনালটি প্রধান শিপিং রুটে শ্রীলঙ্কার মূল অবস্থান সম্প্রসারিত করবে এবং বঙ্গোপসাগরে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করবে।

ডিএফসি সিইও স্কট নাথান বলেন, শ্রীলঙ্কা বিশ্বের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট হাব। কনটেইনার জাহাজের অর্ধেকই এ পথে চলাচল করে থাকে। ওয়েস্ট কনটেইনার টার্মিনালের জন্য ডিএফসির ৫৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ শ্রীলঙ্কার শিপিং ক্ষমতাকে প্রসারিত করবে।

শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চুং বলেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধার একটি মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনের জন্য আমাদের যৌথ লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্য সরকার পছন্দ করছে না’
Next post বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত
Close