জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন জানিয়ে প্রমাণ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এই তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেন তিনি।
ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, সদ্য স্বাধীন দেশ, ভঙ্গুর অর্থনীতি, সমাজ, বৈদেশিক যোগাযোগ, সেই অবস্থাকেও চ্যালেঞ্জ করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু যারা দেশকে স্বাধীন হতে দিতে চায়নি, তারা নিশ্চয়ই দেশকে গড়তে দিতে চাইবে না। এক্ষেত্রে একক বাধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তার নৈতিক বোধ। এজন্য তাকে সপরিবারে হত্যা করলো ঘাতকরা। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ড ও বাঙালির পাল্টা জাতীয়তাবাদ বাস্তবায়নের নজির হিসেবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হলো।
এতে বলা হয়, যেনো ঘাতকেরা জাতিকে রক্ষা করেছেন। তৎকালীন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেন কেউ এই হত্যাকান্ডের বিচার না চাইতে পারে।
ভিডিওতে বলা হয়, কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি’ চালু করেছিলেন। যার মাধ্যমে কেউ যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না চাইতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হয়েছিল।
এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের প্রথম স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া খুনিদেরকে বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে আলিঙ্গন করেছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, বিদেশ থেকে চোখের জল ফেলা ছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কিছুই করার ছিল না। তারা দেশের বাইরে থেকে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, ১৯৮০ সালে নোবেল বিজয়ী শন ম্যাকব্রাইড তিনজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ আইনজ্ঞের সাথে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও চার জাতীয় নেতার হত্যাকান্ডের তদন্তের জন্য প্রথম তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন।
ওই ভিডিওর বিবরণে আরো বলা হয়, ‘তবে জিয়াউর রহমান তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেননি, যা সুষ্ঠু তদন্তে বাধা সৃষ্টির একটি স্পষ্ট প্রমাণ’।
এতে বলা হয়, খুনিদের মধ্যে রশিদ জার্মানিতে, ডালিম স্পেনে, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জেনারেল জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বোঝা তাই কোনো রকেট সায়েন্স নয়।
১৫ আগস্ট দেশে আজ জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
More Stories
উগ্রবাদীদের সাথে সরকারের একটি অংশ মিলে হিন্দুদের উচ্ছেদে চেষ্টা চালাচ্ছে: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে যেখানেই আন্দোলন হয়েছে, সেখানেই...
আ.লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: নুর
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে...
গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গে জড়িতরা...
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলেন জামায়াত আমির
সমান মর্যাদা এবং সম্মানের ভিত্তিতে জামায়াতে ইসলামী ভারতসহ সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির...
শাহজাহান ওমরের হুংকার, ‘আমি আবারও এমপি-মন্ত্রী হব’
গ্রেপ্তারের পর ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর হুংকার দিয়ে বলেছেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এসব মামলা আমার...
মুহাম্মদ ইউনূসকে যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন : শফিক রেহমান
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। তিনি বলেন, “তাকে...