Read Time:5 Minute, 4 Second

সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, কখনো মনে হয় হাতে অস্ত্র তুলে নিই। আবার মনে হয় ভদ্র হয়ে থাকি।

শুক্রবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নুরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটক সকল রাজ বন্দীদের মুক্তি ও যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

নুরুল হক নুর তার বক্তৃতায় বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো হতে চান জানিয়ে বলেন, কখনো মনে হয় অস্ত্র হাতে তুলে নিই। কখনো আবার ভদ্র হয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। তিনি বলেন, আর কতকাল এভাবে সব মুখ বুজে সহ্য করব?

গণঅধিকারের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে, ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সাথে চুক্তি করেছে।

তিনি বলেন, সরকার দুই কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এক,প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়-অবিচার,দুর্নীতি-দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকায়। দুই, এই সরকারের ফাদার-মাদার, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে টিকিয়ে রেখেছে, সেই ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলি।

হামলা-মামলা,হুমকি-ধামকি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে না উল্লেখ করে নুর বলেন, নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্র নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা ধরা শুরু করেছে। তবে এইবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থাকা যাবে না। এইবার গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে নতুন নাটক শুরু করেছে। কোন নিপীড়নমূলক আইন মানা হবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে,ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিংগেল মোড়,বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন ও সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহকারি আহ্বায়ক বায়জিদ শাহেদ, সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব জিলু খান, সাবেক সহকারি সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মুন্না, সাবেক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব,যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ,সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ে ভোট হোক এমনটাই চায় ভারত’
Next post খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন : তথ্যমন্ত্রী
Close