ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তাদের সময় শেষ। এখনও সময় আছে, ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে যে রায় হয়েছে তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মামলায় সাজা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে। এভাবেই নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় তারা। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। মানুষ জেগে উঠেছে। নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বাজেটের নামে মসকরা করছে দেশের মানুষের সঙ্গে, এটা গরীব মারার বাজেট।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার মরণ কামড় দেবে টিকে থাকতে, আমরাও মরণ কামড় দেব তাদের বিদায় করতে। ভারত ও প্রশাসনের মধ্যে কিছু দুর্নীতিবাজ চায় এই সরকার আজীবন থাকুক।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, হাইকোর্টও প্রভাবমুক্ত নয়।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার এবং তাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভোট চুরির বিরুদ্ধে। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র করতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, এটা হলো গরীব মারার বাজেট। তিনি বলেন, আমান উল্লাহ আমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মতো একই মামলা থাকলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে দিয়ে খালি মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন তাদের মন মতো করতে পারবে না বুঝতে পেরে এখন নির্বাচন যাতে না হয় সে চেষ্টা করছে। আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় দলের বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী সপু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
More Stories
সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতে নিরাপদে থাকে: সালাহউদ্দিন
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না বরে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।...
‘চারদিকে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ হাদির মতো আমিও ভয় পাই না’
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা ও পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...
দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: প্রস্তুত হচ্ছে বাড়ি-কার্যালয়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তার বাসভবন ও কার্যালয়ের সংস্কার কাজ প্রায় সম্পন্ন...
হাদির পরিবারকে সান্ত্বনা প্রধান উপদেষ্টার, সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর...
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে
সুদানে সন্ত্রাসীদের হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার খুদে বার্তায় এ কথা জানায়। আইএসপিআর...
‘হাদির অস্ত্রোপচারের সময় দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অস্ত্রোপচারের সময় দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট...
