Read Time:4 Minute, 33 Second

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তাদের সময় শেষ। এখনও সময় আছে, ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে যে রায় হয়েছে তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মামলায় সাজা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে। এভাবেই নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় তারা। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। মানুষ জেগে উঠেছে। নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বাজেটের নামে মসকরা করছে দেশের মানুষের সঙ্গে, এটা গরীব মারার বাজেট।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার মরণ কামড় দেবে টিকে থাকতে, আমরাও মরণ কামড় দেব তাদের বিদায় করতে। ভারত ও প্রশাসনের মধ্যে কিছু দুর্নীতিবাজ চায় এই সরকার আজীবন থাকুক।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, হাইকোর্টও প্রভাবমুক্ত নয়।

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার এবং তাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভোট চুরির বিরুদ্ধে। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র করতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, এটা হলো গরীব মারার বাজেট। তিনি বলেন, আমান উল্লাহ আমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মতো একই মামলা থাকলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে দিয়ে খালি মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন তাদের মন মতো করতে পারবে না বুঝতে পেরে এখন নির্বাচন যাতে না হয় সে চেষ্টা করছে। আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় দলের বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী সপু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ১২ নারী দেশে ফিরলেন
Next post ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগ’র মত বিনিময় সভা
Close