Read Time:4 Minute, 23 Second

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর ও স্বোপার্জিত স্বাধীনতার নির্মাতা শামীম শিকদার আর নেই। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কিউরেটর অব শামীম শিকদার স্কাল্পচার পার্ক ইমরান হোসেন।

তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, প্লাস্টার অব প্যারিস, কাদা, কাগজ, স্টিল ও গ্লাস ফাইবার মাধ্যমে কাজ করেন। প্রখ্যাত কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা সিরাজ সিকদার তার বড় ভাই। শামীম শিকদারের জন্ম ৯ আগস্ট ১৯৫৫ সালের বগুড়া জেলার চিংগাশপুর গ্রামের মহাস্থানে।

শামীম শিকদার ১৯৮০ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন কাজ শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব লাভ করেন। সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পান ১৯৯৩ সালে। এরপর ১৯৯ ভাস্কর শামীম শিকদার চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন।

শামীম শিকদার সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, প্লাস্টার অব প্যারিস, কাদা, কাগজ, স্টিল ও গ্লাস ফাইবার মাধ্যমে কাজ করেন। প্রখ্যাত কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা সিরাজ সিকদার তার আপন বড় ভাই। শামীম শিকদারের স্বামীর নাম জাকারিয়া চৌধুরী যিনি একজন কবি। তাদের দুইটি কন্যা আছে। তাদের নাম সুইটি ও শান্তি। তিনি ভাস্কর্যের পাশাপাশি ছবি আঁকা, জুডো, কারাতে, শ্যুটিং, বাগান করা। শামীম শিকদার কবিতা, সংগীত ও নাটকের ব্যাপারে আগ্রহ ছিল।

১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থিত স্বোপার্জিত স্বাধীনতা শিরোনামের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। তার সহকারী ছিলেন শিল্পী হিমাংশু রায়। ভাস্কর্যটির মূল বেদিতে আছে একাত্তরের বিভিন্ন ঘটনার চিত্র। ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ এটি স্থাপন করা হয়।

স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন ১৯৯৪ সালে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অবস্থিত। ২০০০ সালে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য উদ্যানে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। ইস্কাটনে অবস্থিত জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারিতে নির্মাণ করেন তিনি যেখানে আছে বিশ্বের অন্যান্য ব্যক্তিদের ভাস্কর্য, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু ও ভয়ংকর রাজাকারদের ভাস্কর্য।

শামীম শিকদার ১৯৬৯ সালে লাভ করেন ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস পুরস্কার ১৯৬৯ সাল, ১৯৭০ সাল, ১৯৭৩ সাল এবং ১৯৭৪ সালে। ১৯৭৩ সালে অর্জন করেন সিলভার জুবলি অ্যাডওয়ার্ড অব ফাইন আর্ট। ১৯৭৪ সালে ভাস্কর্যের ওপর প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার জিতে নেন ১৯৭৪ সালে। ২০০০ সালে একুশে পদকে সম্মানিত হন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত: সিএনএন’কে প্রধানমন্ত্রী
Next post সমালোচনার আগে নিজেদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত করুন: যুক্তরাষ্ট্রকে কাদের
Close