Read Time:4 Minute, 10 Second

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ওয়ারেন সিটির শিব মন্দিরে নাচ, গান ও কবিতার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হলো বসন্ত উৎসব ও দোল পূর্নিমা।

গত শনিবার দেশটির স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টায় বর্ণিল সাজে অনুষ্ঠানে আসেন বসন্তপ্রেমীরা। বাসন্তী রঙের শাড়ি, নানা রঙের পাঞ্জাবি এবং রঙিন ফুলে নিজেকে সাজিয়েছেন নানা বয়সের মানুষ। গানের তালে তালে চলে নৃত্য পরিবেশনা। সেইসঙ্গে আবৃত্তি, গানে মুগ্ধ সবাই। এ যেন এক প্রাণের উৎসব।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন রুমানা রশিদ, পার্থ ঘোষ ও চিনু মৃধা। সুকন্যা শুক্লার কোরিওগ্রাফিতে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন মৃত্তিকা সরকার ও অর্পিতা সেন। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন তপন প্রভু ও চিনু মৃধা।

অন্তরা দাস অন্তির কোরিওগ্রাফিতে গ্রুপ নৃত্য পরিবেশন করেন নটরাজ নৃত্যকলা কেন্দ্রের শিশু শিল্পী অরিত্রি, আরিয়ানা, শোহানি, জেসিকা ও পুষ্পিতা। অপর শিশু শিল্পী গ্রুপ নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্কা, স্বরনিকা, প্রমিতা এবং ওম্বিকা। কিশোরী গ্রুপ নৃত্য অংশ নেয় অমিতা, রিয়া, কৃষ্টি, ঈশিকা, কুয়াশা, অথয়, মৌ এবং অন্তরা।

অন্তরা দাস অন্তির কোরিওগ্রাফিতে বড়দের গ্রুপ নৃত্যে অংশ নেন চিনু মৃধা, অন্তরা অন্তি, সুস্মিতা চৌধুরী, নীলিমা রায়, রাজশ্রী শর্মা, সঙ্গীতা পাল, কৃষ্ণা দাস, বেবী আচার্য্য, জোৎস্না বিশ্বাস, শিল্পী পাল, অনন্যা বহ্নি, চম্পা পুরকায়স্থ, চৈতি পাল, অনুপা ঘোষ।

দলীয় সঙ্গীত (মহিলা গ্রুপ) পরিবেশন করেন চিনু মৃধা, সুস্মিতা চৌধুরী, নীলিমা রায়, রাজশ্রী শর্মা, সঙ্গীতা পাল, সুমা দাস, চন্দনা ব্যানার্জী, কৃষ্ণ দাস, ফাল্গুনী সোম, বেবী আচার্য্য ও জোৎস্না বিশ্বাস।

সমবেত সঙ্গীত (পুরুষ গ্রুপ) পরিবেশন করেন রতন হাওলাদার, স্বদেশ রঞ্জন সরকার, অতুল দস্তিদার, হিমেল দাস, দেবব্রত রাহুল, রাখি রঞ্জন রায়, অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, ঝন্টু দাশ, কমলেন্দু পাল, কুলেন্দু পাল, পূর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু এবং অসিত বরন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. দেবাশীষ মৃধা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দেবাশীষ মৃধা বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম রঙ হলো ভালোবাসার রঙ। তাই আপনাদের সকলকে ভালোবেসে ভালোবাসার রঙে সাজিয়ে দিলাম।’

এছাড়া অনুষ্ঠানে কেক কেটে ও মালা বদলের মাধ্যমে বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৌরভ চৌধুরী ও সুস্মিতা চৌধুরী এবং কুলেন্দু পাল ও সঙ্গীতা পাল। আর শিব মন্দিরে এই অনুষ্ঠানের প্রচলন একেবারেই নতুন। খুবই আনন্দের সঙ্গে দম্পতিদের বিবাহবার্ষিকী পালনের রীতি চালু করা হয়েছে। যা সকলের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশির মৃত্যু
Next post ইংলিশদের ‘বাংলাওয়াশ’ করলো টাইগাররা
Close