দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন রুখে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলার নবাবগঞ্জে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগের মতোই তারা (সরকার) এই নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) করতে চায়। আবার আগের মতো ভোট লুট করে নিয়ে যাবে। আমরা কী সেই নির্বাচন করতে দেব? আমাদের অস্তিত্বের জন্য, আমাদের অধিকারের জন্য, বাংলাদেশেকে রক্ষার জন্য, মানুষকে রক্ষা করর জন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আমরা বার বার মার খাচ্ছি। এবার আর মার খেতে রাজি নই।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়ের পরিচালনায় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা তমিজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে দুই কিলোমিটার পদযাত্রা বক্সবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
গ্যাস-বিদ্যুৎ-নিত্য পণ্যে দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি সারা দেশে পদযাত্রা করছে। আজ রোববার ঢাকা জেলার এই পদযাত্রার কর্মসূচি হলো।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার যদি নিরপেক্ষ থাকতো তাহলে আপনার ভোট আপনি দিতে পারতেন। যাকে খুশি তাকে দিতে পারতেন। কিন্তু সেটা হয় না। এখন ওদের (আওয়ামী লীগ সরকার) কথা হচ্ছে, আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। এজন্য এখন মানুষ বলতে শুরু করেছে- আগে যদি জানতাম তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না। এই নৌকা মানুষ নেবে না। কারণ এই নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদ্মা সেতু করেছে খুব ভালো। কিন্তু ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় করেছে। এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, জাতির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক দুর্নীতির কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা ফুলে ফুলে সব কলা গাছ হয়ে গেছে। যার পায়ে স্যান্ডেল ছিল, তিনি এখন বিরাট গাড়ি চালায়। এখন আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ১০ দফা দিয়েছি… তোমরা অবিলম্বে পদত্যাগ কর, সংসদকে ভেঙে দাও এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সেখানে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আসে তাতে আপত্তি নাই। কিন্তু জনগণের ভোটে আসতে হবে।
More Stories
এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চায় ৬১ শতাংশ মানুষ
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অগাস্টের ৮ তারিখ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী...
নির্বাচনে যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। সাবেক স্বৈরাচার দেশি-বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র...
অন্তর্বর্তী সরকার ফেল করলে আমাদের বিপদ আছে : এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করাই...
উগ্রবাদীদের সাথে সরকারের একটি অংশ মিলে হিন্দুদের উচ্ছেদে চেষ্টা চালাচ্ছে: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে যেখানেই আন্দোলন হয়েছে, সেখানেই...
আ.লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: নুর
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে...
গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গে জড়িতরা...