বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ প্রদর্শিত হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির ফ্লাশিংয়ে বম্বে থিয়েটারে। এর উদ্যোক্তা ছিল বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ৮ মে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকা প্রবাসীরা বিশেষ এক মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পিনপতন নিরবতায় তা অবলোকন করেন। পিতার সাথে সন্তানের মায়ার বন্ধনকে ছাড়িয়ে যায় টুঙ্গিপাড়ার দুরন্ত ছেলে খোকার বঙ্গবন্ধু থেকে বাঙালি জাতির জনক হয়ে উঠার ধারাবিবরণীতে। বিশ্বের অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষদের কণ্ঠস্বর হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী শেখ মুজিবের সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের খুবই ছোট্ট একটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে ‘মুজিব আমার পিতা’ ছবিটি তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থের অবলম্বনে।
১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যকার ভাষা আন্দোলনকে মূলত প্রেক্ষাপট করা হয়েছে এই ছবিতে। ফ্রি প্রবেশাধিকারের এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীদের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধারাও ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা-সহ শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীর শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। শেষে ছবির ওপর নিজের মতামত ব্যক্ত করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক। ছবিটি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আলোকপাত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিদগ্ধ দর্শকেরা অভিমত দিয়েছেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে আরো আকর্ষণীয়ভাবে উঠে এসেছে। চলচ্চিত্রের দৃশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়েছেন এক ভিন্ন আঙ্গিকে। একজন কন্যার চোখ দিয়ে আমরা পিতাকে দেখতে পেলাম এই ছবিতে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর দৃষ্টিতে পিতা শেখ মুজিবকে কীভাবে দেখেছেন, কীভাবে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন তা বিবৃত হয়েছে বস্তুনিষ্ঠভাবে। সেই অবিসংবাদিত নেতার শৈশব, কৈশোরসহ তার কর্মময় জীবনের নানাদিক বিভিন্ন আঙ্গিকে উঠে এসেছে ছবিতে।
মূলত বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময়কে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া ছোট্ট খোকা কীভাবে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কীভাবে স্বাধীনতার সেইপথে তিনি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছিলেন এবং কীভাবে তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন; সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছে।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রেরর এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলেও অনেকে উল্লেখ করেছেন। অতিথি-দর্শকের মধ্যে আরও ছিলেন অপরাজিত হক এমপি, নুরুল আমিন এমপি এবং নাহিদ ইজাহার খান। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য স্টেটেও প্রদর্শিত হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
More Stories
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে বাফেলোর পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো...
বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন : প্রবাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশের আইনে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ...
আ.লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের...
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেটে অবস্থিত কমার্শিয়াল সেন্টারের আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে এই...
লস এঞ্জেলেসে সপ্তম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন’র প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
প্রবাস বাংলা ডেস্ক, লস এঞ্জেলেস থেকে, শামসুল আরিফীন বাবলু: ক্যালিফোর্নিয়া’র লস এঞ্জেলেসে ‘সপ্তম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী...
এমভি আবদুল্লাহকে যেভাবে পাহারা দিচ্ছে ২ যুদ্ধজাহাজ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। বাহিনীর...