Read Time:4 Minute, 51 Second

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার অনাস্থা ভোটের আগের দিন তিনি এই ভাষণ দিলেন। ভাষণে তিনি বলেছেন, মনঃক্ষুণ্ন হলেও সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে বলেছেন, আমদানি করা কোনও সরকার মেনে নেবেন না। তিনি জনগণের কাছে যাবেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এখবর জানিয়েছে।

গ্রেফতার হওয়ার সময়ের কথা তুলে ধরে ইমরান খান জানান, দেশের রক্ষাকারী হিসেবে বিচার ব্যবস্থার ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে তার।

ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পুনর্বহালে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। কিন্তু এই রায়ে তিনি মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন।

তিনি বলেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ বিষয়ে অন্তত একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। হুমকির চিঠিকে যত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত ছিল সর্বোচ্চ আদালত তা করেনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, টাকার বিনিময়ে দলবদলের ঘটনায় ৬৩(এ) ধারায় সিদ্ধান্তও তাকে হতাশ করেছে।

তিনি বলেছেন, যেকোন ভুলের বিরুদ্ধে জাতির রুখে দাঁড়ানো উচিত। দুর্নীতি ও অপর দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে নিজেরা সোচ্চার না হলে কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না।

হুমকির চিঠিটি কেন প্রকাশ করা হয়নি তা ব্যাখ্যায় ইমরান বলেন, কোড করা বার্তা দূতাবাসের মধ্যে বিনিময় হয়। এটি মিডিয়া ও জনসম্মুখে প্রকাশ করা যায় না কারণ এতে পাকিস্তানের গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়বে।

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ও মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যকার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আমরা রাশিয়া সফর করা উচিত হয়নি।

পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেন, শেরওয়ানি পরে শপথ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকা শাহবাজ এই বিদেশি ষড়যন্ত্রে জড়িত।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ইমরানের বিরুদ্ধে হতে যাওয়া অনাস্থা পদক্ষেপকে সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের বিরুদ্ধে আখ্যায়িত করে খারিজ করে দেন স্পিকার। এরপরই ইমরান খানের অনুরোধে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বিষয়টি গড়ায় সর্বোচ্চ আদালতে। টানা পাঁচদিন ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের আদেশ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং শনিবার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন।

আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল দশটায় পার্লামেন্টের (জাতীয় পরিষদ) অধিবেশন আয়োজন করতে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের মীমাংসা না করা পর্যন্ত এই অধিবেশন স্থগিত করা যাবে না।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটনের পরনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক
Next post নিউইয়র্কে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী নিহত, আহত ২
Close