Read Time:4 Minute, 50 Second

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে যেসব অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা, ‘কাট অ্যান্ড পেস্ট’ বলে দাবি করেছেন তিনি। এত দিন সেনাবাহিনীর পোশাকে থাকায় এসব প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেননি জানিয়ে তিনি বলেছেন, আগামী ২২ জুন তার অবসর-উত্তর ছুটি শেষ হবে। এর পর তিনি এসবের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাবেন।

শুক্রবার রাতে জার্মান সম্প্রচার মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান সাবেক সেনাপ্রধান। আল-জাজিরার ওই তথ্যচিত্রে আজিজ আহমেদ ও তার একজন কোর্সমেটের কথোপকথনও ছিল।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজিজ আহমেদ জানান, অডিওটি সঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘ইট ওয়াজ আ কাট অ্যান্ড পেস্ট। ইট ওয়াজ টেম্পার্ড। অনেক কিছু করা হয়েছে।’

প্রকাশিত তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘এত দিন আমি ইউনিফর্মে ছিলাম, এটার ব্যাপারে যদি আমি কোনো লিগ্যাল অ্যাকশন বা ব্যবস্থা নিতাম, অনেকে প্রশ্ন করত যে- আই অ্যাম এক্সারসাইজিং মাই অথরিটি। আই অ্যাম মিসইউজিং মাই পাওয়ার। আমি কিন্তু এখন ইউনিফর্মের বাইরে আসছি। আগামী জুনের ২৫ তারিখের পর আমার সম্পূর্ণ রিটায়ারমেন্ট শুরু হবে। তখন আমি চিন্তা করব- হোয়াট কাইন্ড অব লিগ্যাল অ্যাকশন আই শুড টেক অ্যাগেইনস্ট দিস কাইন্ড অব প্রপাগান্ডা অ্যান্ড আদার থিংস।’

তার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের খবরের বিষয়ে জবাবে জেনারেলর আজিজ জানান, বিষয়টি তিনি গণমাধ্যম থেকে শুনেছেন। যুক্তরাষ্ট্র কারও ভিসা বাতিল করলে তাকে তা জানানোর বিধান আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেশটির কোনো দায়িত্বশীল দপ্তরের কাছ থেকে পাননি। গণমাধ্যমে যথাযথ সূত্র ও তথ্য-প্রমাণ উল্লেখ না করেই এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক বলে যে প্রচার সে-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডয়চে ভেলেকে আজিজ আহমেদ বলেন, ‘কয়েক শ কোটি নয়, আমাকে সামান্য কিছুর সূত্র দিন, যাতে বাকি জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে পারি। শত শত কোটি নয়, যদি বলতে পারেন লাখ লাখ বা এক-দুই কোটি টাকা আছে, তাহলে ওটা দিয়ে আমি পরিকল্পনা করব আমার ভবিষ্যৎটা স্বাচ্ছন্দ্য হতে পারে কি না।’

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব ছাড়ার পরপরই তার ব্যক্তিগত সহকারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, আমি যখন রিটায়ারমেন্টে আসি, তখন সে অবসরে গেছে। ডিসিপ্লিন বলে একটা কথা আছে। অত সিরিয়াস যদি কোনো কিছু হতো- হি শুড হ্যাভ বিন ডিসক্লোজড ফ্রম দ্য সার্ভিস। সে ক্ষেত্রে আমরা অনেককে জেল দিয়ে থাকি, অনেককে বরখাস্ত করে থাকি। হি ওয়াজ গিভেন নরমাল রিটায়ারমেন্ট। আমি এ ব্যাপারে ফারদার কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

আল-জাজিরার তথ্যচিত্র যখন প্রচারিত হয় তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সফরে ছিলেন। তৎকালীন সেনাপ্রধান বলেন, তথ্যচিত্রটি প্রকাশের শুরুতে বিব্রত হয়েছিলেন। তবে সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে’
Next post ২০২২ সালে ৪ লাখের বেশি অভিবাসী নেবে কানাডা
Close