Read Time:3 Minute, 12 Second

বল্গাহীন ড্রাইভিংয়ের মাধ্যমে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্যে নিউইয়র্ক সিটির সকল রাস্তায় সর্বোচ্চ গতিবেগ নির্ধারণ করা হলো ঘণ্টায় ২৫ মাইল। যেসব রাস্তায় ঘণ্টায় ৪৫ মাইল ছিল সেগুলোকেও কমিয়ে ২৫ মাইল করা হলো।

নিউইয়র্ক সিটির ট্র্যান্সপোর্টেশন কমিশনার হ্যাঙ্ক গুতম্যান ১০ মে এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, কুইন্সের কনড্যুইট এভিনিউ এবং ব্রঙ্কসের পেলহাম পার্কওয়ের গতিবেগও ৩০ মাইল থেকে কমিয়ে ২৫ মাইলে আনা হলো।

উল্লেখ্য, এ দুটি রাস্তার গতিবেগ কমানো হয়নি ২০১৪ সালে অন্য সকল রাস্তার সাথে। এবার কমানো হলো সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর অভিপ্রায়ে। অন্যসকল সড়কে গতিবেগ হ্রাসের সুফল পাচ্ছে সিটি।
কমিশনার গুতাম উল্লেখ করেন, ৩০ মাইল বেগে চলা গাড়ির নিচে পড়লে অথবা ধাক্কা খেলে একজন মানুষের মৃত্যুর যতটা ঝুঁকি, ২৫ মাইল বেগের গাড়ির ধাক্কা অথবা নীচে পড়লে তার চেয়ে দ্বিগুণ কম মরার আশংকা। আর গতিবেগ হ্রাসের এই পরিকল্পনা নেয়া হলো সর্বসাধারণের জীবন রক্ষার তাগিদে। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ৬ মে পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ৭২ জনের পাণ ঝরেছে। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৫৬ জন।

সড়কের গতি হ্রাস উপলক্ষে সোমবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গুতমেনের সাথে ছিলেন নিউইয়র্ক পুলিশের ট্র্যান্সপোর্টেশন চীফ কিম রয়েস্টার। তিনি বলেন, নতুন এ গতিসীমা কার্যকর করতে পুলিশ তৎপর থাকবে। অর্থাৎ সীমা লংঘন করলেই জরিমানার টিকিটসহ ড্রাইভিংয়ের পয়েন্ট কর্তনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। অর্থাৎ গতিসীমা লংঘনকারিকে ট্রাফিক-কোর্টে প্যারেড করতে হবে। কিম রয়েস্টার আরো বলেন, গতিসীমা লংঘনের একাধিক অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতারের বিধিও হান্ড্রেড পার্সেন্ট কার্যকর করা হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটিতে গতিসীমা লংঘনের গাড়ি চিহ্নিত করার ক্যামেরার সংখ্যা দাঁড়াবে দুই হাজার। এরফলে বিশ্বে যে কোন সিটির তুলনায় সর্বাধিকসংখ্যক গতিসীমা লংঘনের ক্যামেরার সিটিতে পরিণত হবে এই সিটি। এছাড়াও রয়েছে রেড লাইট ভায়োলেশনের কয়েক হাজার ক্যামেরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post খালেদার সুস্থতা কামনা করে চিঠি ও গিফট বক্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিকরা
Next post এবারও মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের উৎসববিহীন ঈদ
Close