Read Time:4 Minute, 59 Second

বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় পূর্ব ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি।

হাঙ্গেরির সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিয়ার্তো এ বার্তাই দিয়ে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে। এ সফরের সময়ে যৌথ ঘোষণা ও কূটনীতিক প্রশিক্ষণ বিষয়ে চুক্তি সই করেন দুই মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক শেষে বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারির মধ্যে কনস্যুলেট অফিস খোলা, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে রাজি করানোর বিষয়ে একমত হওয়া ও জাতিসংঘে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক সমর্থনের বিষয়েও জানান হাঙ্গেরির মন্ত্রী।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কোভিড সময়ে এই প্রথম কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন এবং আমরা রোহিঙ্গা, নিউক্লিয়ার খাত, ইলেক্ট্রনিক্স, অ্যাগ্রো প্রসেসিংসহ বিভিন্ন সহযোগিতা খাত নিয়ে আলোচনা করেছি। ‘

তিনি বলেন, ’হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তারা নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন।’

রাশিয়ান কোম্পানি রোসটাম বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরিতে একই ধরনের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাচ্ছে এবং এই বিষয়ে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের জন্য হাঙ্গেরি বাংলাদেশি ছাত্রদের ৩০টি স্কলারশিপ দেবে। এছাড়া চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ১০০টি স্কলারশিপ থাকবে।’

২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঙ্গেরি সফর করেন এবং তখন থেকে আমাদের সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছে বলে জানান মোমেন।

বাংলাদেশের সিয়ামিজ যমজ রোকেয়া ও রাবেয়ার সফল অস্ত্রোপচারের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘উভয় দেশের ডাক্তাররা এ কাজ করেছে এবং দুজনেই ভালো আছে।’

ইলেকট্রনিকস, প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, নিউক্লিয়ার ও পর্যটন খাতে হাঙ্গেরির পারদর্শিতা আছে এবং তারা বিদেশে বিনিয়োগ করে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের অল্প সম্পদ নিয়ে আমরা দারিদ্র্যসীমা অর্ধেকের বেশি কমাতে পেরেছি। ’

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার বলেন, ‘বাংলাদেশে এটিই প্রথম হাঙ্গেরির কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর।’

দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে কনস্যুলেট অফিস খুলবো এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের সমর্থনে বিভিন্ন প্রস্তাবে এখনও আমরা সমর্থন দিচ্ছি।’

বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য হাঙ্গেরির ব্যবসায়ীদের ২১ কোটি ইউরো ঋণ দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুবিধা হচ্ছে হাঙ্গেরির কোম্পানিরা এই বড় বাজারে ব্যবসা করতে পারবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে তাদের বৈশ্বিক অবস্থান মজবুত হবে। এটি বাংলাদেশের জন্যও ভালো হবে। কারণ, আমরা উচ্চ প্রযুক্তি দিতে সক্ষম। ’

হাঙ্গেরি গত ৪০ বছর ধরে নিউক্লিয়ার জ্বালানি ব্যবহার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রথম এবং হাঙ্গেরি দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাচ্ছে এবং বিবিধ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আমরা উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছি।’

দুই দেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কনস্যুলেট অফিস খোলা, ব্যবসা করার জন্য অর্থায়ন ও আইনি বাধা দূর করার জন্য দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি দরকার।’

তিনি বলেন, ‘দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং আশা করছি এটি দ্রুত শেষ হবে।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post অবসরে যাচ্ছেন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. সাদিক
Next post করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু সুখবর
Close