Read Time:5 Minute, 14 Second

সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‌‌‘ওই দলটি বলছে- বিএনপি নাকি নির্বাচন পেছাতে চায়।’ কিন্তু বিএনপি তো নির্বাচনমুখী দল। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপি নির্বাচনের কথা বলে আসছে। আমরা তো নির্বাচন পেছানোর কথা একবারও বলিনি। আমরা বার বার বলেছি যে, নির্বাচনটা অতি দ্রুত করতে হবে। আমি বলব, এসব মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতারণা করবেন না, মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।

শনিবার দুপুরে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এই সমাবেশে সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত কঠিন একটা সময় আমরা পার হচ্ছি। এই সময়টা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা। এখানে কতটা ধৈর্য ধরে আমরা এই সময়টা পার করতে পারি, নির্বাচনটা করতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলছিলেন, যে কোন সময় হামলা হতে পারে। এখানে তার পরিষ্কার করা উচিত ছিলো- হামলা কোত্থেকে আসবে, কারা করবে। জাতি প্রস্তুত আছে যেগুলো হামলা প্রতিরোধ করতে। হামলা, ভয় দেখিয়ে এই দেশের মানুষকে কখনো পরাজিত করা যায় না। খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই- এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা শক্তি যারা একাত্তর সালে স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিল। তারা একাত্তরকে এখন নিচে নামিয়ে শুধুমাত্র ‘২৪’র জুলাইকে বড় করে দেখাতে চায়। তারা ১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দিতে চায়। তারা ১৯৭১ কে অস্বীকার করতে চায়। ১৯৭১ সাল হচ্ছে আমাদের জন্মের ঠিকানা। ১৯৭১ হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের পরিচিতির কথা, আমাদের স্বাতন্ত্রের কথা। আমাদের একটা নতুন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের কথা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না তারপরও রাজি হয়েছি। নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে। কারণ আলাদাভাবে গণভোট করতে হলে থেকে আরো খরচ বেড়ে যাবে, প্রায় হাজার কোটি টাকার উপরে সেই খরচ হবে। নির্বাচনে দুটো ব্যালট থাকবে একটি ব্যালট গণভোটের, আরেকটি ব্যালট নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচনের। এখন তারা বলছেন, গণভোট আগে হবে, তারপরে নির্বাচনের কথা। এই নির্বাচন পেছানোর কথা আপনারাই বলছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ভারতে বসে হাসিনা বিভিন্ন সাক্ষাতকার দিচ্ছেন। একবারের জন্যও তিনি অনুশোচনা পর্যন্ত প্রকাশ করেননি। তাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিল তুমি কি এপোলজি (ক্ষমা) চাইবে না তোমার কর্মকাণ্ডের জন্যে। সে বলেছে, না আমরা এপোলজি চাইব না। সেই আজকে অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতে বসে। ভারত সরকারকে খুব পরিষ্কার করে আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিন। সবসময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করবেন না। মানুষের বিরোধিতা করবেন না, বাংলাদেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নজমুল হক নান্নু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post গণভোটে জন্ম নেওয়া দলের গণভোটে বিরোধিতা কেন—প্রশ্ন সারোয়ার তুষারের
Next post জাকির নায়েককে ধরিয়ে দিতে দিল্লির আহ্বানে যে জবাব দিলো ঢাকা
Close