Read Time:3 Minute, 59 Second

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ‘বোকামিপূর্ণ ক্ষমতা’ প্রদর্শন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন।

সম্প্রতি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক মতামত কলামে ক্লিনটন লিখেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রায় প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল ‘বোকামি’ এবং বিপজ্জনক।

তিনি বিশেষভাবে সমালোচনা করেন একটি ঘটনার, যেখানে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথসহ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা একটি সাধারণ মেসেজিং অ্যাপে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, যেখানে ভুলবশত একজন সাংবাদিক যুক্ত হয়ে পড়েন।

হিলারি লিখেছেন, ‘আমাকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে তা ভণ্ডামি নয়, বরং বোকামি’।

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সবাই বিস্মিত– ‍সত্যিই বিস্মিত! যে, ট্রাম্প ও তার দল জাতীয় নিরাপত্তার গোপনীয়তা বা ফেডারেল রেকর্ড সংরক্ষণের আইন নিয়ে আদৌ কোনো চিন্তা করে না’।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন একের পর এক নির্বাহী আদেশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাঠামোর জন্য ক্ষতিকর।

হিলারি তার প্রতিটি সিদ্ধান্তকে ‘বোকামি’ এবং ‘চালাকির অভাব’ বলে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ক্লিনটন পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করে এসেছেন। বিশেষ করে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প বারবার হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।

হিলারি তার নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানের ওপরও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে শাসনব্যবস্থার প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ে রয়েছে। যদি আমেরিকা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের মতো পরিচালিত হয়, যেখানে নেতা নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন, তাহলে আমরা এই প্রতিযোগিতায় হেরে যাব। পাশাপাশি, আমেরিকার যে বিশেষত্ব এবং বিশ্বে তার অপরিহার্যতা ছিল, তাও হারিয়ে যাবে’।

নিবন্ধের শেষাংশে হিলারি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি (ট্রাম্প) আটলান্টিক সিটির ক্যাসিনোগুলো দেউলিয়া করেছেন। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জুয়া খেলছেন। যদি এটি চলতে থাকে, তাহলে ভুল গ্রুপ চ্যাটে যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁস হওয়া আমাদের সবচেয়ে ছোট দুশ্চিন্তা হবে এবং যতোই ‘মুষ্টি’ কিংবা ‘জাতীয় পতাকা’ ইমোজি ব্যবহার করা হোক না কেন, তা আমাদের বাঁচাতে পারবে না’।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি মির্জা ফখরুলের
Next post বাংলাদেশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ‘বিভ্রান্তিকর ও একপক্ষীয়’
Close