Read Time:4 Minute, 46 Second

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা দখল করেছেন। কানাডায় পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হারুন-আল রশিদের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যকে বিদেশে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে অসৎ অভিসন্ধি বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনার দেশি ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেয়া হয়েছিল। এ সত্ত্বেও তিনি তার পদে বহাল থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।

পরে বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও দেশে ফেরত আসেননি তিনি।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শুক্রবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি ‘A Plea for Bangladesh-and for Myself Subject: Bangladesh’s Descent into Anarchy under Yunus-The World’s Silence is painful’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে হারুন আল রশিদ কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে। এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে হারুন ও তার পরিবারের পাসপোর্ট বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে হারুন আল রশিদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে।

বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এমন কর্মকাণ্ড কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয় না এবং ভবিষ্যতেও যারা এমন কর্মকাণ্ড করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
100 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post রোহিঙ্গারা যেন আগামী ঈদ রাখাইনে করতে পারে সে প্রচেষ্টা চলছে : প্রধান উপদেষ্টা
Next post বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় গুতেরেসের উদ্বেগ
Close