২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময়ে সোহেল তাজ ছিলেন সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বিডিআর বিদ্রোহের পর সোহেল তাজ একাধিক দিক থেকে গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন।
তবে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সোহেল তাজ। এ জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কাছে সামাজিক ও পারিবারিক ঐতিহ্য বিবেচনা রেখে সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণাদি পর্যবেক্ষণ করে তাকে জনসমক্ষে নির্দোষ ও নিরপরাধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার তদন্ত কমিশনের সঙ্গে দেখা করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। পোস্টে কমিশনের কাছে লিখিত আবেদনও তিনি শেয়ার করেছেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্ত কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই, এ কমিশন আমার পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমার বিশ্বাস যে এ কমিশনের মাধ্যমে সত্য বের হয়ে আসবে ও শহিদদের পরিবাররা ন্যায়বিচার পাবে এবং প্রমাণিত হবে আমি নিরপরাধ, নির্দোষ।’
তদন্ত কমিশনের কাছে লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি এ কমিশনকে দৃঢ় ভাষায় বলতে চাই যে সংবিধান, রাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখে আমি আমার দায়িত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি এবং আমার এ বক্তব্য সম্পূর্ণ নির্ভুল ও সত্য। বাংলাদেশের আপামর জনগণের মতো আমিও ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ (যারা ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড) ৭৪ জন শহিদের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা দেখতে চাই।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমি লক্ষ করলাম একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে, কোনো প্রমাণাদি ছাড়া, শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। একজন নিরপরাধ নির্দোষ মানুষকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এ রকম একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে তথ্য প্রচার করা চরম নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছু না। তাই আমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লেখিত লিখিত বয়ান এ কমিশনের কাছে পেশ করলাম। আমার বিশ্বাস যে এ কমিশনের মাধ্যমে সত্য বের হয়ে আসবে এবং প্রমাণিত হবে আমি নিরপরাধ ও নির্দোষ।’
অতএব এই কমিশনের কাছে আমার জোর দাবি এবং অনুরোধ থাকবে, আমার সামাজিক ও পারিবারিক ঐতিহ্য বিবেচনায় রেখে সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণাদি পর্যবেক্ষণ করে জনসমক্ষে আমাকে নির্দোষ ও নিরপরাধ ঘোষণা করতে হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত নারকীয়, নৃশংস ও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পেছনে অন্যদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
More Stories
বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে: মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান
বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা ও সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আছে। এসব নিয়ে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে।...
‘এক-এগারোর মতো বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে’
এক-এগারোর মতো বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর...
ঢাকাকে অস্থিতিশীল করতে ৩০০ ডাকাত ভাড়া করেছিলো আওয়ামী লীগ: পিনাকী ভট্টাচার্য
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ঢাকায় ভয় ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য ৩০০ পেশাদার ডাকাত নিয়োগ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আয়োজন করেছিল। সোমবার (১৭...
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। সোমবার (১৭ মার্চ) তিনি এ সাক্ষাৎকার...
ছোট মাঠের না, আমরা দুনিয়ার মাঠের খেলোয়াড় : প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠে খেলার খেলোয়াড় না। স্বপ্নের ও...
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ না রাখার আহ্বান জামায়াত আমিরের
দেশের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার (১৬ মার্চ)...