Read Time:3 Minute, 57 Second

যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ করার স্বপ্ন নিয়ে ঘুরছেন আশিস চৌহান (ছদ্ম নাম)। আগামী বছর মার্কিন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান তিনি। এই লক্ষ্য তার ‘মাথায় গেঁথে আছে’ বলে জানান মি. চৌহান। আর্থিক ব্যবস্থাপনা খাতে কর্মরত ২৯ বছর বয়সী এই ভারতীয় এমবিএ এর পাঠ চুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেই চাকরি করতে চান। কিন্তু বর্তমানে তিনি দ্বিধায় আছেন।

আশিস চৌহান সম্পর্কে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলা আরও বলে, এই দ্বিধার কারণ সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ভিসা নীতিকে ঘিরে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা।

এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় দক্ষ বিদেশি কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এই কর্মসূচি একদিকে যেমন মার্কিন কর্মীদের ‘বাদ দিয়ে’ বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য সমালোচিত হয়ে থাকে, তেমনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভাবানদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রশংসিতও হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সময় এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচির সমালোচক হলেও বর্তমানে তিনি এই ৩৪ বছরের পুরানো কর্মসূচিকে সমর্থন করেন।

অন্যদিকে, ধনকুবের ইলন মাস্কও এই কর্মসূচির সমর্থক। তার মতে প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ারদের খুঁজে আনতে হলে এটাই তার চাবিকাঠি।

এ পর্যন্ত যারা এইচ-ওয়ানবি ভিসা পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ভারতীয় নাগরিক। তালিকায় ভারতের পরেই রয়েছে চীন, তাদের অনুপাত ১২ শতাংশ।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সাল নাগাদ এইচ-ওয়ানবি ভিসা পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া মানুষের বেশিরভাগই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত বা ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কর্মরত। কম্পিউটার সম্পর্কিত ক্ষেত্রে চাকরি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মানুষের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ। এদের বার্ষিক বেতনের গড় এক লাখ ১৮ হাজার ডলার।

এইচ-ওয়ানবি ভিসা উদ্বেগ কিন্তু বৃহত্তর অভিবাসন বিতর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টারের’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বেড়েছে ১৬ লাখ। গত ২০ বছরেরও বেশি সময়ে অভিবাসনের ক্ষেত্রে এত বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশেরও বেশি মানুষ অভিবাসী, ১৯১০ সালের পর থেকে এটাই রেকর্ড পরিমাণ অভিবাসন।

মার্কিন দেশে মেক্সিকানদের পরেই ভারতীয়রা দ্বিতীয় বৃহত্তম অভিবাসী গোষ্ঠী। অনেক মার্কিন নাগরিক আশঙ্কা করছেন যে অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি চাকরির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post জামায়াতে ইসলামী একটি সাম্যের দেশ গড়তে চায়: শফিকুর রহমান
Next post উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে জাতীয় সরকারের দাবি জানালেন ভিপি নুর
Close