Read Time:4 Minute, 16 Second

অতি বিপ্লবী কোনো চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করা কারোর জন্য কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, হঠকারিতা করা যাবে না। চরম একটা অবস্থা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য হবে না। অনেকে রোমান্টিসিজম বলেন। এটার মানে শুধু প্রেম নয়, এটা বিপ্লবের প্রতি প্রেম। অর্থাৎ এ মুহূর্তে আমি সব পাল্টে দেব, এই মুহূর্তে আমি সব দখল করব, অন্যায় রোধ করব, এটা হয় না। আপনাকে ধাপে ধাপে করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রন্থ আড্ডায় তিনি এসব কথা বলেন।

সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের এখানে এখন যে অস্থিরতা চলছে, এই অবস্থার যদি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, আমাদের ধৈর্য ধরে পা ফেলতে হবে। এমন কিছু আমরা করব না, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আরও বিপদ যেন আমরা ডেকে না আনি। এই বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, কখনো ধৈর্য হারাবেন না, আশা হারাবেন না। আমি কেন জানি না, আমাদের প্রত্যাশা অনেক কিন্তু আমাদের ধৈর্য একেবারেই কম। এইতো মাত্র কয়েকটা মাস হয়েছে। এর মধ্যেই আমরা পাগল হয়ে গেছি। আমাদের সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে, ভুল তো করবেই তারা তো আর সরকারে ছিল না, রাজনীতি করেনি। রাজনীতি বিষয়টা তারা জানে না। তাদের তো সে সময়টা দিতে হবে। পরিবর্তন তো একদিনে হবে না। ধৈর্য ধরেন, স্ট্রাকচার আমরা তৈরি করি, একটা গণতান্ত্রিক স্ট্রাকচার তৈরি হোক, সেই স্ট্রাকচার তৈরি হলে নিশ্চয়ই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, একটা কথা আমি আবারও বলি, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনি এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন? বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেনই। নির্বাচনের কথা বলার কারণটা হচ্ছে একটাই, আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো নির্বাচিত সরকার একটা অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমার এক্সেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি। এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে আমরা তা তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কার, সেটা করে নিয়ে নির্বাচনটা করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে। সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি খুব শিগগিরই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদেরকে ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিকে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।

জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দিপ্তী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী। গ্রন্থ আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরে এলাহী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Next post আমেরিকায় নতুন সাম্রাজ্যবাদ: দ্য ইকোনমিস্ট
Close