স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তিন আলোচিত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় জড়িত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল গির্জায় বড়দিন উদযাপন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। উনি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। তবে এই ছুটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এভাবে চার্জশিট বা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কোনো নিয়ম নেই। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ম অনুসরণ না করেই এটি দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় আবার তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনাটি জানার পর মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নথিপত্র ও পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত কর্মকর্তা তার ডিবির পরিচয় গোপন করে থানা-পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতিও নেননি। বিষয়টি জানাজানির পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন। আনিসুল হক ও সালমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল সবুজ মিয়া ও মো. শাহজাহান মিয়া হত্যা মামলায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় সবুজকে মারধর করে ও শাহজাহানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়। সবুজের চাচাতো ভাই মো. নুরনবী ও শাহজাহানের মা আয়শা বেগম মামলার বাদী হন। মামলা দুটির তদন্ত করছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ। তিনি গত ২৩ অক্টোবর দুই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। নথিতে দেখা যায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নিজেকে তিনি নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়েছেন। যদিও তিনি কর্মরত আছেন ডিবিতে।
More Stories
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেসসচিবের
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না—এ প্রশ্নে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।...
‘সেভেন সিস্টার্স’ ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত
ভারত বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন বানাতে চায় মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায়...
আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই, রাজনৈতিক বাধা আমাকে থামাতে পারবে না: আদালতে আনিস আলমগীর
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক আনিস আলমগীর আদালতে রিমান্ড শুনানিতে বলেছেন, আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে...
হাদিকে গুলির ঘটনা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ: তারেক রহমান
ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি (ওসমান হাদি)–কে গুলি করার ঘটনাকে নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে...
ডিসেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার
ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে ১৭০ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে...
সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতে নিরাপদে থাকে: সালাহউদ্দিন
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না বরে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।...
