Read Time:3 Minute, 49 Second

ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণদের পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তারা দেশকে নতুন করে গড়তে চান। এমনকি বাংলাদেশে কখনো ইসলামি চরমপন্থা আসবে না। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এমন মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও সাময়িকীটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশের খেতাব পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়েছে।

গত ১২ মাসে কোন দেশ সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে, সেই বিচারে বর্ষসেরা দেশ বেছে নেওয়া হয়। বাংলাদেশকে বর্ষসেরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং বাংলাদেশে নতুন যাত্রা শুরুর বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে ইকোনোমিস্ট।

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ হওয়ায় ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত। সত্যিকার অর্থেই আমরা বড় একটি পরিবর্তন ঘটিয়েছি। ছাত্রদের কারণেই অভ্যুত্থান ঘটেছে। তখন থেকে আমরা বলছি, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ফিরে আসার কিছু ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কর্মকর্তারা। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। দেশের তরুণেরা খুবই উদ্যমী। ধর্মের বিষয়ে তারা খুবই পক্ষপাতহীন। এই তরুণেরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান।’

তরুণদের শক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন, আমরা তরুণদের ওপর মনোযোগ দিই, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তরুণীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের যেকোনো তরুণের মতো তারা সামনের কাতারে ছিলেন। আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয়, তা নিশ্চিত করা উচিত।’

যোগ্যতার দিক দিয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা কোনো অংশে কম নন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণকে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্যাবিনেটে যুক্ত করা হয়েছে। তারা এখন মন্ত্রিসভার সদস্য। তারা কাজও করছেন অসাধারণ।’ নির্বাচনের পর কী করতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাকে আমার কাজ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জোর করে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে।’ সুতরাং সারাজীবন যেসব কাজ করেছেন সেখানেই ফিরে যেতে পারলে খুশি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি’র সমমনা দল ও জোট
Next post বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের ‘সম্পৃক্ততা’ পেয়েছে কমিশন
Close