Read Time:4 Minute, 48 Second

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমাদের মনের মধ্যে অফুরন্ত দেশ প্রেম ও ভালোবসা ছিল এবং আমাদের প্রত্যয়ছিল দেশকে বদলাবো। যে লড়াই সে সময় ছিলো, আজও চলছে। কিন্তু নাগিনীর বিষ নিশ্বাস প্রতিবেশী দেশ থেকে এখনও আসছে। সে একজন পলাতক আসামি। কোন একসময় ক্ষমতা জোর করে দখল করে রেখে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী জাহির করেছেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে নাগরিক ঐক্য চাঁদপুর জেলার আয়োজনে মানবিক, গণতান্ত্রিক, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে দেশে বিচার নেই, মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান নেই, ক্ষমতাসীন মানুষের বাহিরে কথা বলার অধিকার নেই, সেরকম দেশ চাই না। সেদেশ আমরা বদলে দেব। আর সেজন্য আমাদের লড়াই হয়েছে এবং আমরা জিতেছিলাম।

মান্না বলেন, জনতার ন্যায্য লড়াইয়ের মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র যেই করুক, জিততে পারবে না। পতিত শেখ হাসিনা সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে জনগণের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে টিপতে বলেছে, বলেছে আরাম চাই। ওই দিন শেষ। এখন আমরা আমাদের মতো করে বাঁচতে চাই। এর মধ্যে কোনো ধরনের বিদেশি প্রভাব মানতে রাজি না। আমরা বিদেশের বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু প্রভাব চাই না।

তিনি বলেন, দেশে ৫২-৫৩ বছর ধরে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য ছিল না, মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হতো। তার জন্য অভিযোগও করা যেত না। দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যেত। যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪০০ কোটি টাকা সম্পদের মালিক হয়েছিল এবং সেই কথা তৎকালীন নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী গর্বের সঙ্গে সবার সামনে বলতে পারতেন, আমরা সেই দেশের বদল চাই।

মান্না বলেন, শেখ হাসানি সেখানে বসে উস্কানি দিচ্ছেন। আজকে মিছিল করো, কালকে বিক্ষোভ করো, পরশু দিন নিজেদের বুকের মধ্যে ট্রাম্পের ছবি লাগিয়ে সবার সামনে গোলযোগ তৈরি করো। পুলিশ যদি তোমাদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করে যাতে ট্রাম্পের ছবি দেখা যায়। কত নিচ হলে তিনি এরকম কাজ করতে পারেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা একজন পলাতক আসামি। ভারত যদি আমাদের বন্ধু দেশ হয়, তাহলে তাকে আশ্রয় দিতে পারে না। তবুও তারা আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যদি তোমরা তোমাদের দেশে তাকে রাখ, তাহলে তাকে তার মুখ বন্ধ করে রাখতে বল। কথা যাতে না বলে। কিন্তু সেখানে বসে তিনি বলছেন, কিশোর গ্যাংরা আমাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ১৭ লাখ নয়, ১৮ কোটি মানুষ লড়াই করে তাকে উৎখাত করেছে। উনি সেই লড়াইকে ছোট করে দেখছেন।

তিনি আরও বলেন, ভারত কতদিন শেখ হাসিনাকে তাদের দেশে রাখতে পারে, আমরা তা দেখবো। আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমরা মামলা করছি। ওই মামলা গ্রহণ করার পর, আদালত যখন ভারতকে বলবে আসামি আপনাদের দেশে আছে, তাকে ফেরত দিয়ে দিন। তখন মোদী সাহেবের ক্ষমতা হবে না শেখ হাসিনাকে ধরে রাখার।

নাগরিক ঐক্য চাঁদপুর জেলার সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন কাননের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post থেরাপি নিতে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের কিল-ঘুসি খেলেন আসাদুজ্জামান নূর
Next post বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমাণের চেষ্টা ভারতীয় মিডিয়ার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Close