– কাজী মশহুরুল হুদা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও স্বেচ্ছাচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি লেভেলে নিশ্চিত করা হবে—কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে না, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না।’
তারেক রহমানের এই বক্তব্য পর্যালোচনা করলে অনুধাবন করা যায় যে তিনি বিএনপির অতীত অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে দলকে অন্য লেভেলে তুলে এনেছেন। যাদের মধ্যে উদারতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা আছে; সেটিই স্বাভাবিক। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মাঝেও, বৃহত্তর পরিসরে আমাদের সবার মাঝে একটি বিষয়ে আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে। আর সেই বিষয়টি হলো, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।’
এই কথা সাধারণ জনগনের কাছে স্বস্তির বার্তা বয়ে আনে। নিরাপত্তার নীড় খুঁজে পায়।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্যে সবচে উল্লেখযোগ্য ও মূল্যবান বক্তব্য হল, ‘আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না। আমরা সবাই একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই, যেখানে গণআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে, নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারিত্ব।’
তার এই বক্তব্যের ভেতর দিয়ে বোঝা যায় তিনি অনেক ম্যাচুরিটি অর্জন করেছেন। দলকে তিনি এমনভাবে সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন যা সকলের সাথে বন্ধুত্ব বৈষম্যমূলক নয় এবং ঐক্যের সরকারের মাধ্যমে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কাঙ্খিত চেতনা তা যদি সফল হয় তা হলে দেশ ও জাতি তার স্ব গৌরবে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে। বিকাশ ঘটাতে প্রয়োজন সৃজনশীলতা ও মুক্ততা।
কিন্ত এই কাঙ্খিত চেতনার উন্মেষ ঘটানো কি সম্ভব?
সম্ভব! যদি দলের মধ্যে সংস্করণের সংস্কৃতি চালু হয়। দল যখন ক্ষমতায় যায়, তখন তার কাজ হল জনগনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করা। ঠিকাদারিত্ব, প্রভূত্ব নয়। তার বক্তব্যে বিশ্লেষণ করলে তাই দাঁড়ায়। তিনি যদি তার কথামত কাজ করতে পারেন- তাহলে তার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপত্তার চাদরে নিরাপদ হবে বলে আমার ধারণা।
তিনি একথাও বলেছেন যে, ‘জনগণের ভোটে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, আপনারা দেখতে পাবেন, আমাদের ৩১ দফার আলোকে, জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারত্বের রাজনীতি। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা।’
More Stories
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি চিঠি দেবে বাংলাদেশ
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানাতে আগামী ৪৮...
আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন : সারজিস
আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। শুক্রবার...
১৫ বছর একটি দস্যু পরিবারের শাসন ছিল: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ এবং সেসময় দেশের পরিস্থিতি কেমন ছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...
শেখ হাসিনার শাসনামলের নৃশংসতা নথিভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ ড. ইউনূসের
ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সকল নৃশংসতার সঠিক নথিভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...
‘জুলাই শহীদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা মার্চ থেকে ভাতা পাবেন: প্রেস সচিব
আগামী মার্চ মাস থেকে ‘জুলাই শহিদ’দের পরিবার ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা ভাতা পাওয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার...
রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফল করতে ড. ইউনূসের আহ্বান
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে বড় ধরনের সফল করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ...