Read Time:4 Minute, 1 Second

– কাজী মশহুরুল হুদা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও স্বেচ্ছাচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি লেভেলে নিশ্চিত করা হবে—কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে না, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না।’
তারেক রহমানের এই বক্তব্য পর্যালোচনা করলে অনুধাবন করা যায় যে তিনি বিএনপির অতীত অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে দলকে অন্য লেভেলে তুলে এনেছেন। যাদের মধ্যে উদারতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা আছে; সেটিই স্বাভাবিক। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মাঝেও, বৃহত্তর পরিসরে আমাদের সবার মাঝে একটি বিষয়ে আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে। আর সেই বিষয়টি হলো, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।’
এই কথা সাধারণ জনগনের কাছে স্বস্তির বার্তা বয়ে আনে। নিরাপত্তার নীড় খুঁজে পায়।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্যে সবচে উল্লেখযোগ্য ও মূল্যবান বক্তব্য হল, ‘আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না। আমরা সবাই একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই, যেখানে গণআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে, নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারিত্ব।’
তার এই বক্তব্যের ভেতর দিয়ে বোঝা যায় তিনি অনেক ম্যাচুরিটি অর্জন করেছেন। দলকে তিনি এমনভাবে সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন যা সকলের সাথে বন্ধুত্ব বৈষম্যমূলক নয় এবং ঐক্যের সরকারের মাধ্যমে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কাঙ্খিত চেতনা তা যদি সফল হয় তা হলে দেশ ও জাতি তার স্ব গৌরবে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে। বিকাশ ঘটাতে প্রয়োজন সৃজনশীলতা ও মুক্ততা।
কিন্ত এই কাঙ্খিত চেতনার উন্মেষ ঘটানো কি সম্ভব?
সম্ভব! যদি দলের মধ্যে সংস্করণের সংস্কৃতি চালু হয়। দল যখন ক্ষমতায় যায়, তখন তার কাজ হল জনগনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করা। ঠিকাদারিত্ব, প্রভূত্ব নয়। তার বক্তব্যে বিশ্লেষণ করলে তাই দাঁড়ায়। তিনি যদি তার কথামত কাজ করতে পারেন- তাহলে তার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপত্তার চাদরে নিরাপদ হবে বলে আমার ধারণা।
তিনি একথাও বলেছেন যে, ‘জনগণের ভোটে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, আপনারা দেখতে পাবেন, আমাদের ৩১ দফার আলোকে, জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারত্বের রাজনীতি। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আজীবন রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
Close