Read Time:4 Minute, 29 Second

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ কারও ওপর নির্ভর করে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ফিরিয়ে আনবে তা মনে করি না। তাই এটা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় নিজের শক্তিতে এবং নিজের পায়ের ওপর ভর করে ৭০ সালের পূর্বে আন্দোলন করেছে, ৭০ সালে আন্দোলন করেছে, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে এবং পরবর্তীকালে এখন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন করছি, তা সম্পূর্ণ জনগণের শক্তিতের ওপর নির্ভ করেই আন্দোলন করছি। সুতরাং এবিষয়ে খুব বেশি একটা কথা বলতে চাই না।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, একেবারে ভয়াবহ পর্যায়ে। খাদের কিনারায় গেছে। পড়ে যাবে।

বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় এবং কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, বর্তমান রাজনৈতি পরিস্থিতি এবং তার বিশ্লেষণ- সেই সঙ্গে কর্মসূচি নির্ধারণে প্রাথমিক কিছু আলোচনা করেছি। এখানে সবাই একমত হয়েছি। যেটা হলো, যেকোনো পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তরুণ, যুবক এবং ছাত্র সমাজ। সেক্ষেত্রে খুব আশাবাদী, গণঅধিকার পরিষদে সবাই তরুণ এবং ছাত্র সমাজ থেকে উঠে এসেছেন। ছাত্র নেতা ছিলেন। আর এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত জোরালো ছিলো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমান যে অবৈধ সরকার, যারা বিনা ম্যান্ডেটে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম ও লড়াই করছি। এজন্য প্রায় ৬৩টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করে আসছি।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, অতীতে আন্দোলনের বিষয়বস্ত নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। সেখানে জনগণের যে সমর্থন ছিলো এবং তাদের রাজপথে উপস্থিত ছিলো, সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার যেভাবে দমন-পীড়ন করেছে এবং আইন-আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধীদল নির্মূল করে একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য সরকারের যে অপচেষ্টা, সেটা নিয়ে সবাই সতর্ক আছি। যুগপৎ আন্দোলন চলবে।

নুর ছাড়াও বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: ওবায়দুল কাদের
Next post বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে
Close