Read Time:4 Minute, 6 Second

বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় মশলা ও পেঁয়াজ কার ঘরে নাই?

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত গণহত্যা দিবসের এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রান্না ঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য কোনটা কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান, ভারতীয় পণ্য। এখন রিজভী রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মিরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়েছে। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুঁজে দেখব?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে উকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনও বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাঁড়িয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ দুপুর বেলা নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছেন। আমি জানতে চাই, মির্জা ফখরুল আপনি একাত্তরে কোথায় ছিলেন? একাত্তরে কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছেন? ২৫ মার্চের গণহত্যা নিয়ে তারা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা কারা? তারা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া।’আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে তারা। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আমাদের (আওয়ামী লীগ) বন্ধু আছে, প্রভু না। বিএনপির প্রভু আছে। যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরেও আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির প্রভুরা যখন এ নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা আমাদের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে সেদিন দাঁড়িয়েছিল।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post দেশি পণ্য কিনতে বলায় আওয়ামী লীগের গা জ্বালা শুরু হয়েছে: রিজভী
Next post ‘গুলি-গ্রেনেডের ভয়ে পালাবে না, এমন সাহসী নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে’
Close