Read Time:4 Minute, 58 Second

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেওয়াল ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই ছিটমহল বিনিময় করে ৬৮ বছরের সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততা করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন এটি সমীচীন নয়। ভারত বিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনও তারা সেটি করছে।’

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যারা করুক এর সূত্র খুঁজতে হবে। প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্যনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই।’

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল। এটা ভেঙ্গে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে। কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সকল ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু ও দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’

এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন পাশে আছে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।’

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post এমভি আব্দুল্লাহ নয়, রুয়েন উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌ বাহিনী
Next post ‘জুলুম-নির্যাতন করে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করা যাবে না’
Close