Read Time:4 Minute, 21 Second

যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে ২১ ফেব্রুয়ারি “বহুভাষিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পৃথিবীর প্রতিটি ভাষাভাষীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিনিধি, লস এঞ্জেলেস কাউন্টির রাষ্ট্রাচার প্রধান, বাহামা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পেরু, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। এসময় মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা, বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বৈশ্বিক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠার অনন্য বিষয়টি নতুন প্রজন্ম এবং অন্যান্য ভাষার মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়। বক্তারা ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষা সংরক্ষণ এবং বহু ভাষাবাদের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন। বহুভাষাবাদ প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বিলুপ্তির পথে থাকা ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্বও তুলে ধরেন। ৫২’র সকল ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম।

তিনি স্বাগত বক্তব্যে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগ ও ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কথা স্মরণ করেন। ভাষা নিয়ে গবেষণা ও ভাষা সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের চিত্রও এ সময় তুলে ধরা হয়। “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি” সঙ্গীতটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলন ও বহুভাষিকতার ওপর দুটি ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। আলোচনা শেষে আয়োজিত বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এর আগে মহান একুশের প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল কনস্যুলেটের সকল সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে প্রতীকী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া ভাষা শহিদ এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাইডেনকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের
Next post ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে স্পিকারের সাক্ষাৎ
Close