দেশকে অতি দারিদ্র্যমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে এ মেয়াদের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একেবারে দেশের তৃণমূল থেকে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলেই সারাদেশ উন্নত হবে এবং জনগণ তার সুফল পাবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশের বেশি ছিলো।
এদিকে দুস্থ নারী বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা নারীসহ সমাজে অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সহায়তাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন।
সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগণ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণ তার সরকারের ব্রেইন চাইল্ড এবং এই প্রচেষ্টার ফলে দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেন।
বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
সাক্ষাতের শুরুতে বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, পেরু এবং ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূতরা বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
More Stories
দেশে এতোদিন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশে আগে কখনো এত অনুকূল পরিবেশ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...
নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি, মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা
বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’র ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত...
নববর্ষের র্যালির জন্য তৈরি হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’
নববর্ষের র্যালিতে প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি হচ্ছে পতিত স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রতিকৃতি।...
প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পিটার হাস
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক উপদেষ্টা পিটার হাস আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের...
বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি
পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সংস্থাটি আরও...
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন: ড. ইউনূসকে জড়িয়ে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সে...