Read Time:3 Minute, 19 Second

থাইল্যান্ডে মানবপাচার চক্রের মূলহোতাসহ দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম খাওশোদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অভিবাসন ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানান, ওই চক্রটিকে গ্রেপ্তারে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন তারা। আটক ব্যক্তিরা আশরাফ গ্যাংয়ের সদস্য। অবৈধ মানবপাচার চক্রটিকে শেষ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি হলেন আশরাফ (৪৬) এবং আবু (৪৭)। এদের মধ্যে আশরাফ গ্যাংয়ের মূলহোতা আশরাফ নিজেই। আমদানি রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে তিনি মানবপাচার করতেন।

থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন ব্যুরোর অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল পানুপাকায়া জিত্প্রায়ুরাথি বলেন, গেল বছরের জানুয়ারি ও মার্চে সোংখলা, পাত্তানি এবং রানাথিওয়াত থেকে ৪১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে অভিবাসন কর্মকর্তারা। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তে চক্রটিকে শনাক্ত করে অভিবাসন বিভাগ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন থাই, একজন পাকিস্তানি ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন।

তদন্তে দেখা গেছে, এসব অভিবাসী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত দিয়ে সা কাইও প্রদেশে প্রবেশ করেছিলেন। পরে বাসে করে তারা ব্যাংকক যান। সেখানে আশরাফের সহযোগী আবুর কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করে চক্রের সদস্য আবু।

চক্রের মূলহোতা আশরাফ একটি আমদানি রপ্তানি কোম্পানির মালিক। প্রায় এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে অভিবাসন বিভাগ তদন্ত চালিয়েছে। তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। চক্রটি কয়েক বছরে ১১৭ মিলিয়ন থাই বাথ হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নেল পানুপাকায়া জিত্প্রায়ুরাথি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বর্তমান সরকার শূন্যের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে: মঈন খান
Next post শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
Close